বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) রাজ্যের করোনা আক্রান্ত ১৯৫৯২জন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) রাজ্যে ৮১৮৭ জন। গুজরাটের করোনা আক্রান্ত বাড়ার কারণ হিসাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যুক্তি দিলেন, সে রাজ্যে লোকজন বেশি বিদেশে যায়, তাই! কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তো ভিন রাজ্যে যায়। মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করেই তাঁর এই উক্তি। তাঁর আরও কটাক্ষ, রাজ্য বলছে পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য করোনার বৃদ্ধি হচ্ছে। আলোচনা করেই এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। অন্য রাজ্য ব্যবস্থা নিতে পারলো, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পারেনি।
সব বাড়িতে নতুন জলের সংযোগ পৌঁছয়নি। ৯৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল তার মধ্যে মাত্র ৪০০ কোটির মতো খরচ করেছে রাজ্য। আর্সেনিক মুক্ত জল, বাধ তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তারপরও খালি টাকা চেয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাসের ভাড়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল না। ক্লাবগুলোকে টাকা দিলেন কিন্তু তাদের কোনও আউটপুট নেই। দিলীপের আরও কটাক্ষ, ২১ জুলাইতে মোচ্ছব হয়, আর বাস মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন না কেন?
ফিরহাদ হাকিম অসফল মেয়র। তাঁর পরিচয় আমফান না হলে জানা যেত না। আজ অব্দি বাসের ভাড়া ঠিক হলো না অথচ কর্পোরেশনের কর্মীদের বলছেন পৌঁছতে হবে। অন্তত ‘সবুজ সাথী’ সাইকেল দিতে পারতেন তো!
আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আন্দাজে পরিসংখ্যান দিচ্ছেন। প্রথমে বলা হলো আশি হাজার, এখন বলা হচ্ছে এক লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা। এ রকম হেরফের কেন? সার্ভের ব্যাপারে এক জন নিরপেক্ষ সদস্যকে নিতে হবে।
ঝড়ের নয় দিন আগে জানা গেছিলো এতো বড় বিপর্যয় আসছে তাও সরকার কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। প্রশাসনিক লেভেলে মিটিং হলো না। ত্রাণের টাকায় ভোটের ফান্ড ভরার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের দাবি শুধু কেন্দ্রের কাছে।