বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় এখনো জারি ভারত (india) চীন চাপান উতর। এরই মধ্যে দেশের রাজধানীতে বড় সড় জঙ্গী হামলার সতর্কতা দিল গোয়েন্দা দপ্তর। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে করোনার সুযোগ নিয়ে কাশ্মীর থেকে ৪-৫ জনের একটি জঙ্গী দল দিল্লিতে (delhi) ঢুকে পড়েছে। আরো বেশ কয়েকজন ঢোকার চেষ্টা করছে বলে খবর।
এই তথ্য পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দিল্লির সমস্ত হোটেল, লজ গুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাজার, রেলস্টেশন ও বাসস্টপের মত এলাকাগুলিকে চূড়ান্ত নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে ঢোকা ও বেরোনোর সব রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং। গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাস ট্যাক্সি বা ট্র্যাকে করে জঙ্গীরা রাজধানীতে ঢুকতে পারে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল সেলকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ টি পুলিশ জেলাতেই জারি চূড়ান্ত সতর্কতা।
এর আগে, শনিবার ভোর ৫.১০ মিনিটে বিএসএফের বর্ডার ফাঁড়ি পানসারের কাছে একটি পাকিস্তানি গুপ্তচর ড্রোনকে উড়তে দেখে বিএসএফ। বিএসএফ এর দেবেন্দ্র সিং 9 মিমি বারেটার থেকে 8 রাউন্ড গুলি চালিয়ে এটিকে মাটিতে নামিয়েছেন। ভারত সীমান্তের 250 মিটার ভিতরে চলে এসেছিল ড্রোনটি। জঙ্গীদের জন্য 1 টি এম -4 মার্কিন রাইফেল, 2 টি ম্যাগাজিন, 60 রাউন্ড গুলি এবং 7 টি গ্রেনেড বহন করছিল ড্রোনটি।
জানা যাচ্ছে, ড্রোনটির ওপর আলি ভাই নাম লেখা ছিল। সম্ভবত পাকিস্তান থেকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল। প্রসঙ্গত, জইশ-ই-মহম্মদ এর জঙ্গীদের কাছ থেকে একই রকম অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনা। সম্ভবত বড় কোনো হামলার ছককে রূপ দেওয়ার জন্য ভারতে ড্রোন করে এই অস্ত্রগুলি পাঠানো হচ্ছিল। এর আগের এরকম বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ব্যার্থ করেছে ভারতীয় সেনা।