বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda) কংগ্রেস পার্টির রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন (Rajiv Gandhi Foundation) নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। নাড্ডা শুক্রবার একটি ট্যুইট করে দাবি করেন যে, কংসের শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল (PMNRF) এর টাকা কংগ্রেসের ফাউন্ডেশনে দান করা হত নাড্ডা ট্যুইট করে লেখেন, ‘PMNRF সঙ্কটের সময়ে মানুষের সাহায্য করার জন্য বানানো হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেস সরকারের সময় PMNRF থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে টাকা দান করা হত। PMNRF এর বোর্ডে কে বসে ছিল? শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতি কে ছিলেন? শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধী। এই ঘটনা নিন্দনীয়। আর এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে, কীভাবে নৈতিকতাকে জলাঙ্গলি দেওয়া হয়েছিল।”
PMNRF, meant to help people in distress, was donating money to Rajiv Gandhi Foundation in UPA years.
Who sat on the PMNRF board? Smt. Sonia Gandhi
Who chairs RGF? Smt. Sonia Gandhi.
Totally reprehensible, disregarding ethics, processes and not bothering about transparency. pic.twitter.com/tttDP4S6bY
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) June 26, 2020
এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বএলছিলেন যে, ২০০৫-০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে চীন তিন লক্ষ আমেরিকান ডলারের সহায়তা করেছিল। বিজেপির সভাপতি বলেন, কংগ্রেসের কাছে এটা জানতে চাই যে, এত বড় টাকা কিসের জন্য রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে দান করেছিল চীন? এই ফাউন্ডেশনের সভাপতি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ফাউন্ডেশনের সদস্য।
নাড্ডা এই গুরুতর অভিযোগ মধ্য প্রদেশ জনসংবাদ নামে আয়োজিত একটি ডিজিটাল র্যালিতে করেন। ওই র্যালিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও উপস্থিত ছিলেন। এই র্যালিকে জেপি নাড্ডা কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করে বলেন, ‘আমি অবাক যে ২০০৫-০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে পিপলস রিপাবলিক অফ চাইনা এবং চীনের দূতাবাস তিন লক্ষ ডলার কেন দেয়?” নাড্ডা বলেন, বিপক্ষ দল বিরোধিতার নামে কীভাবে বন্ধুত্ব পালন করে, এটা তাঁর জলজ্যান্ত উদাহরণ।
বিজেপির সভাপতি বলেন, দেশ জানতে চায় যে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে চীন তিন লক্ষ আমেরিকান ডলার কিসের জন্য দিয়েছিল? একটি পরিবারের ভুলের কারণে ৪৩ হাজার বর্গ কিমি জমি খুইয়ে দিই আমরা। চীনের থেকে এই টাকা নেয় এরা আর দেশবিরোধী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
আরেকদিকে কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘২০০৫ ভুলে ২০২০তে আসুন আর প্রশ্নের জবাব দিন। উনি বলেন, দেশ সীমান্ত সুরক্ষা আর চীনের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে জানতে চায়, আর আপনি মানুষের সামনে অন্য প্রসঙ্গ টেনে এনে নজর ঘোরাতে চাইছেন।