বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রচণ্ড বৃষ্টিতে জল বেড়ে বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সিউড়ির তিলপাড়া জলাধার থেকে কিছুটা জল ছায়া হয়েছে ডাউনে। এদিকে ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বাড়ায় সাঁইথিয়ার ফেরিঘাট ভেঙে গিয়েছে। ফেরিঘাটের ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। জল ছাড়া হচ্ছে বক্রেশ্বর থার্মাল পাওয়ার ড্যাম থেকেও।
এবিষয়ে, জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, সমস্ত নদীর দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোরে রয়েছে জলাধার। ঝাড়খন্ডের ম্যাসাঞ্জোর থেকে ময়ূরাক্ষী নদী প্রবাহিত হয়ে এসেছে সিউড়ি তিলপাড়া জলাধার পর্যন্ত। তার মাঝখানে ঝাড়খণ্ডের সিদ্ধেশ্বরী নদী মিশেছে ময়ূরাক্ষী নদীতে।
বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে সিদ্ধেশ্বরী নদীতে আর সেই জল প্রবাহিত হচ্ছে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর দিয়ে। ফলে চাপ বেড়েছে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর সিউড়ি তিলপাড়া জলাধারে। তাই জল কিছুটা ছাড়তেই ভেসেছে সাঁইথিয়ার ফেরিঘাট।
অন্যদিকে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নীল নির্জনে থেকে জল ছাড়া হয়েছে নদীতে। বীরভূমের জেলা শাসক জানিয়েছেন, ” অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বীরভূম জেলা প্রশাসন থেকে বিরভূমের সমস্ত নদীর জলের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
মহম্মদ বাজারের কুলে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে আঙ্গারগড়িয়া থেকে সোঁতসাল যাওয়ার রাস্তার মধ্যে থাকা সেতু। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সেকেড্ডা, দীঘলগ্রাম, রাওতারা, রানীপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের।
কিছু কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিবারগুলি জানায়, পরনের জামা কাপড় থেকে শুরু করে চালডাল এমনকি টাকা-পয়সা সমস্তই মাটি চাপা পড়ে গেছে।
সময় মত সকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ায় কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন সকলেই । তা না হলে ঘটে যেতে পারত বড় দুর্ঘটনা। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত গোয়াল ঘরে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারটি। বৃষ্টিতে প্রায় তছনছ অবস্থা বীরভূমের। তবে প্রশাসন সব রকম চেষ্টা করছে। তা সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।