বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছত্তিসগড়ের (Chhattisgarh) কোন্ডাগাঁও (Kondagaon) জেলার ওড়াগ্রামে এক যুবতীকে সাতজন মিলে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনায় দুদিন পর যুবতী আত্মহত্যা করে নেয়। কিন্তু পরিবারের হাজার চেষ্টার পরেও পুলিশ কোনও মামলা দায়ের করেনি। তিনমাস পর যুবতীর বান্ধবী ঘটনার বৃত্তান্ত দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
পুলিশ তিনমাস ধরে কোনও তদন্ত করার তো দূরের কথা, অভিযোগই দায়ের করতে চায়নি। এসডিপিও অমিত প্যাটেল জানান, অভিযোগের পর দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে, এবার পোস্টমর্টেম করা হবে। যুবতীর কাকা দাবি করেন যে, পরিবারের তরফ থেকে লাগাতার অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
জানিয়ে দিই, নির্যাতিতার বাবা ৪ অক্টোবর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা করার ফলে ওনার প্রাণ রক্ষা পায়। এরপর নির্যাতিতার বাবা ৫ অক্টোবর কাউকে কিছু না বলেই কোথাও চলে যান, পরিজনেরা এখন ওনাকে খোঁজ করছেন।
পরিজনেরা খোঁজাখুঁজি করলে মেয়ের আত্মহত্যার সাথে এই মামলা জড়িত জানতে পারেন, এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। যুবতীর বান্ধবী জানায়, প্রায় তিনমাস আগে সে আর নির্যাতিতা একটি বিয়েতে গিয়েছিল। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত জলসা চলছিল।
ওই বিয়েতে কানাগ্রাম আর ফুডের গ্রামের সাতজন ছিল। বান্ধবী বলে, রাতের বেলায় সাতজন তাঁর বান্ধবীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় আর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে ফিরে নির্যাতিতা তাঁর বান্ধবীকে সমস্ত কথা খুলে বলে। বান্ধবী জানায়, মুখ খুললে নির্যাতিতা আর তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল ধর্ষকেরা।