বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুজোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ক্রগামত শক্তি বাড়িয়ে পুজোর মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। আমফানের রেশ এখনও কাটেনি বহু জায়গায়। করোনা আবহের মধ্যে আগত আমফানের আতঙ্ক এখনও বাংলার মানুষের মধ্যে স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে।
আমফান বিধ্বস্ত বাংলা কিছুটা সেরে অঠার আগেই আবারও এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর। নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গতি’। ৩০ শে সেপ্টেম্বর থেকে সৃষ্ট হয়ে এটি ক্রমশ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছে।
আজকের আবহাওয়া
সকাল থেকে শহরের আকাশে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাপমাত্রার পারদ সামান্য বেড়েছে, তা ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও, আসন্ন নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা।
আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রাতে থাকবে মেঘলা আকাশ।
গতি আগমনের দিনক্ষণ
একদিকে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে সপ্তাহের শেষ ভাগে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তাল সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গতির বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে তীরে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময়ই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা৷ তাই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এবার উৎসব ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতির অভিমুখ কোন দিকে এখনও সঠিক করে কিছু বলা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।