ভারতকে (india) ভ্যাকসিন তৈরি করতে সাহায্য করতে চায় চীন (china)। ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে দুদেশের বন্ধুত্ব আবার আগের জায়গায় ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে লাল চীন, এমনটাই বলা হয়েছে ব্রিকস সম্মেলনে। গত কয়েকমাসের তৈরি সম্পর্কে ফাটল নিরসনে নিছকই বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো নাকি এই সাহায্যের অন্তরালে আরো কিছু গোপন অভিসন্ধি রয়েছে বেজিং এর? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার চীনা প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ব্রাজিল এবং রাশিয়ান কোম্পানিগুলির সঙ্গে তৃতীয় দফার ট্রায়ালের কাজ করছে চীনা সংস্থাগুলি৷ অচিরেই তারা বানিজ্যিক ভাবে টীকা তৈরি করতে চায় এমনিটাই জানিয়েছেন শি জিংপিং।
ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। ১৩০ কোটির এই দেশে প্রচুর করোনা টীকার প্রয়োজন হবে। সেদিকে তাকিয়ে ভারতের ভ্যাকসিন বাজারে প্রবেশ করাই চীনের লক্ষ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
আবার অন্যদিকে লাদাখ উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সাথে চীনের বৈরিতা চরমে। চীনা পন্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথে চলতে শুরু করেছে ভারত। যার জেরে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে চীন। পাবজি, টিকটক সহ একাধিক অ্যাপ ব্যান করার ফলেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে তাদের। ভারতের বড় বাজার হাতছাড়া হওয়ার পর চীন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে নিজের বানিজ্যিক আগ্রাসন কায়েম রাখতে চাইছে এমনটাও মনে করছে অনেকেই।
লাদাখ নিয়ে বৈরিতার মাঝেই ফের ব্রিকস এই সম্মেলনে মুখোমুখি হন ভারত ও চীন। সেখানেই এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চীন জানিয়েছে ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত ১৯টি দেশের সঙ্গেও ভ্য়ারসিন তৈরির রিসার্চ এবং ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সাহায্য করবে।