ব্রিটিশ দম্ভের ওপর ভগৎ সিংয়ের আঘাত থেকে স্বাধীনতার হস্তান্তর, নানা ইতিহাসের সাক্ষী ভারতের সংসদ ভবন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: তৈরি হতে চলেছে নতুন সাংসদ ভবন[Parliament house]। আর কিছুকাল পরেই নতুন সাংসদ ভবনেই হবে সমস্ত কাজকর্ম হবে, বসবে লোকসভা, রাজ্যসভার অধিবেশন। গতকালই এই নতুন সাংসদ ভবনের ভূমিপূজা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী [Narendra Modi]। কিন্তু পুরনো সংসদ ভবনের ঐতিহ্য, গরিমা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

প্রাক্তন লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ জানান, এই সংসদ ভবনেই ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন বিপ্লবী ভগৎ সিং। তিনি ও বটুকেশ্বর দত্ত ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল সংসদ ভবনের কক্ষে বোমা বিস্ফোরণ করেন, যা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিটি অলিন্দ। এখানেই ভারতের স্বাধীনতা হস্তান্তর করেছিল ব্রিটিশরা। এখানেই প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট মাঝরাতে বিখ্যাত ‘থ্রাস্ট উইথ ডেস্টিনি’ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। আবার ২০১৪ সালে এখানেই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রবেশের সময় সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বর্তমান এই সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ স্থপতিদ্বয় এডউইন লুটিয়েন্স ও হার্বার্ট বাচার। প্রথমজনের নামেই পার্লামেন্টের পার্শ্ববর্তী এলাকা লুটিয়েন্স জোন নামে পরিচিত। ১৯২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এই ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল। ভবনটি তৈরি হতে সময় লেগেছিল ছয় বছর, খরচ হয়েছিল সেই সময় ৮৩ লক্ষ টাকা। ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড আরউইন এর উদ্বোধন করেন।

প্রায় ছয় একর জমির ওপর নির্মিত এই ভবনের ব্যাস ১৭০ মিটার। ভবনের প্রথম তলে একটি বারান্দা রয়েছে যেখানে ১৪৪টি লাল বেলেপাথর রয়েছে এবং এর উচ্চতা ২৭ ফুট। এখানের পিলার বা স্তম্ভগুলিই সংসদ ভবনের পরিচয় বহন করে। আর কিছু বছর পর এখানে হয়তো আর অধিবেশন বসবে না, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে ভারতের এই সংসদ ভবন।

সম্পর্কিত খবর