বিয়ে বাড়িতে খেতে বসে মাংস কম হওয়ায় অভদ্রতা পাত্রপক্ষের, রাগে বিয়ে ভাঙল কনে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিয়েবাড়িতে (marriage) পাতে মাংস কম পড়তেই বেজায় চটলেন বরপক্ষ। বচসা থেকে হাতাহাতি গিয়ে গড়াল প্যান্ডেল ভাঙচুরে। এরপর সব মিটমাটের দিকে এগোলেও বেঁকে বসলেন নববধূ। বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই তৈরি হল ‘তালাকপত্র’। বিয়ের পর নতুন সংসার করার আগেই বিয়ে ভাঙ্গলেন পাত্রী।

শুনতে অবাক লাগলেও, রূপোলি পর্দার মত এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল শনিবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসির বাহিরঘন্না গ্রামে। ঘটনাটা শুনতে সিনেমার গল্প বলে মনে হলেও, বাস্তবে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন নববধূ। তাঁর কথায়, ‘যারা সামান্য মাংসের জন্য বিয়েবাড়িতে এমন হুলুস্থুলু করতে পারে, আর যাই হোক তাদের বাড়ির বৌ হতে পারব না।’

image 277558 1581475918

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। গলসির বামুনাড়া গ্রামের বাসিন্দা বর প্রায় ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে দুপুরে মেয়ের বাড়ির এলাকায় দুপুরে মসজিদে বিয়ে করতে আসেন। কনের বাবা পেশায় দিনমজুর হলেও, মেয়ের বিয়ের জন্য যথাসাধ্য আয়োজন করেছিলেন।

বিয়ে শেষে যখন বরপক্ষের আত্মীয়রা খেতে বসেন, তখন নাকি তাদের পাতে কম মাংস দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিয়ের পরিবেশ। বচসা থেকে প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালায় বরপক্ষের লোকজন। ঘটনার খবর পুলিশের কানে যেতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বর, বরের বাবা এবং কয়েকজন আত্মীয়কে থানায় ধরে নিয়ে যান।

বরপক্ষের নামে কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় ওই ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন শনিবার দুপক্ষ মিলে বসে  আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু মিটমাট করতে চাইলেও বেঁকে বসেন পাত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘যারা সামান্য মাংসের জন্য বিয়েবাড়িতে এমন হুলুস্থুলু করতে পারে, আর যাই হোক তাদের বাড়ির বৌ হতে পারব না। এই বাড়িতে গেলে আমি কোনদিন শান্তি পাব না’।

মেয়ের সিদ্ধান্তে প্রথমটায় কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলেও, পরবর্তীতে তাতেই সম্মত হয় পাত্রীর বাবাও। তাঁর কথায়, ‘প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও পরে মেয়ের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানাই। ওই বাড়িতে গেলে ও কিছুতেই ভালো থাকতে পারত না’। শুধু পাত্রীর বাবাই নয়, আশেপাশের অনেকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর