বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানে ট্রেনিংয়ে যাওয়ার সময় গতি হারায় গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৪ পরগনার মসলন্দপুরের বেলেডাঙা নিবাসী জওয়ান (indian army) দেবকুমার ভট্টাচার্য (debkumar bhattyacharya)। শুক্রবার তাঁর জন্মদিনেই বাড়ি ফিরল জওয়ানের কফিন বন্দি দেহ। শোকাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মসলন্দপুর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস ঘোষ সববেদনা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনার দিন। দেবকুমারকে শেষবার দেখার জন্য সমস্ত কাজকর্ম ফেলে রেখে তাঁর বাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেক মানুষ। এমনকি অনেকের বাড়িতে রান্নাও করেননি’।
জন্মদিনে ছেলের কফিন বন্দী দেহ দেখে শোকে ভেঙ্গে পড়ে মৃত জওয়ানের গোটা পরিবার। তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন পঞ্চায়েতের সদস্যরা ও মছলন্দপুর এক্স আর্মি ইউনিয়নের সভাপতি সুধীর নাগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপসকুমার ঘোষ এবং বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানও।
জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন দেবকুমার ভট্টাচার্য। দেশের হয়ে কাজ করতে আগ্রহী হওয়ায় মাত্র ২০ বছর বয়সেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লীতে ছিলেন তিনি। সেখানে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের দেশাত্মবোধের প্রকাশ ঘটাতেন।
গত ২৪ শে মার্চ বিশেষ প্রশিক্ষণের কারণে রাজস্থান যাচ্ছিলেন দেবকুমার এবং তাঁর ৭ সহকর্মী। যাওয়ার পথে গাড়ির গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়ি এবং সেখানেই দেবকুমার সহ আরও দুজনের মৃত্যু হয়। বাকিরা আহত হন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ছেলের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে কফিন বন্দী দেহ দেখে চোখের জল বাঁধ মানে না এলাকাবাসীর।