নন্দীগ্রামের ভোটে বেজায় খুশি শুভেন্দু, বললেন দুপুর ১২টার মধ্যেই বিপ্লব হয়ে গেছে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে অখুশি হচ্ছেন, আরেকদিকে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ভোট নিয়ে বেজায় খুশি। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বেলা ১২টার মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে নন্দীগ্রামে। এটা বিপ্লব। আমার হিসেবে ৮৫ শতাংশের মতো ভোট পড়বে।” শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমের সামনে এও জানান যে, বিজেপি অথবা আমার কোনও অভিযোগ নেই নির্বাচন নিয়ে।

suvendu nandigram

সকাল ৭টা নাগাদ ভোট দেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট দিয়ে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নাম না নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়একে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আন্টিকে একটু শান্ত থাকতে হবে। গুন্দাগিরি করলে হবে না। উন্নয়ন জিতবে বেগম হারবে।” দুপুরে শুভেন্দু বলেন, ‘বেগমের দুধেল গাইরা কিছু করতে পারবে না। যারা জয় শ্রী রাম, হরে কৃষ্ণ বলেন। যারা দুর্গা পুজো, কালী পুজো করেন তাঁরা দুপুর ১২টার মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোট দিয়ে দিয়েছেন।”

suvendu khardah

আরেকদিকে, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বয়ালের ৭ নম্বর বুথের পরিদর্শনে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন বলেন যে, বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে ছাপ্পাভোট করাচ্ছে। এখানে যারা গুণ্ডামি করছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানে না তিনি জানান, স্থানীয়রা আমার কাছে অভিযোগ করে বলেছেন যে, এখানে অবাধে ছাপ্পা ভোট চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছিল। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভোট দিতে দিচ্ছে না। আমরা আদালতে যাব।

আজ সকালে দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের গোকুলনগর, সোনাচূড়া, বয়াল সহ একাধিক এলাকা থেকে অভিযোগ সামনে আসছিল। শাসক দল তৃণমূল অভিযোগ করে বলে যে, বিজেপির গুণ্ডারা তাঁদের পোলিং এজেন্টকে বুথে বসতে দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তৃণমূল অভিযোগ করে বলে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় বয়ালের বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বিজেপি। স্থানীয়রা বয়ালে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেন। তাঁরা ওই কেন্দ্রে পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

তৃণমূল এবং স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য বয়ালের মাস্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ পরিদর্শনে যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান মাত্রই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওনাকে দেখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া শুরু করেন। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তেজক হয়ে ওঠে। তৃণমূল আর বিজেপি কর্মীরা সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ইটবৃষ্টিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে পুলিশ এবং র‍্যাফ।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর