বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী মুকুল রায়ের সঙ্গে লড়াই করবেন, না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাবেন? নির্বাচনের আগে প্রায় অসহায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধেয় কৃষ্ণনগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যে বেলায় আচমকাই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা তপন কুণ্ডু ও তাঁর দলবল। এরপর সেখানে উপস্থিত তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মলয় কুণ্ডুর উপর হামলা চালায় তাঁরা। যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী কৈশানী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। আর ওনার অভিযোগের পর তৃণমূলের শ্রমিক নেতা তপন কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মলয়বাবু জানান, ‘নির্বাচনের কাজ সেরে আমি পার্টি অফিসে ঢুকে চা পান করছিলাম। আর সেই সময় আচমকাই শ্রমিক নেতা তপন কুণ্ডু তাঁর দলবল নিয়ে পার্টি অফিসে ঢুকে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে মারধর করে আর চাকু দিয়ে আমাকে খুনের চেষ্টা করে। পার্টি অফিসে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা আমাকে কোনোরকম বাঁচায়। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে চাকুর আঘাতে আহত হন এক তৃণমূল কর্মী।
এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট পার্টি অফিসে পৌঁছে যান তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী। তিনি এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আখ্যা দিতে নারাজ। তিনি বলেন, তপন কুণ্ডু যদি তৃণমূলেরই লোক হয়, তাহলে পার্টি অফিসে ঢুকে তৃণমূলের কাউন্সিলারকে খুন করতে যাবেন কেন? আর তপন কুণ্ডু এবং তাঁর দলবল পার্টি অফিসে ভাঙচুরই বা কেন চালাবে? আমি তাঁকে নিজের দলের কর্মী বলতে রাজি নই। ওঁকে যাতে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া না হয়, সেটা বলেছি পুলিশকে।