নন্দীগ্রাম কাণ্ডে ভুল তথ্য দেওয়ায় মমতা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তবে সেদিনের সবচেয়ে চর্চিত বিষয় ছিল বয়াল কাণ্ড। ভোটের দিন সকাল থেকে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়িতে গৃহবন্দী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুপুর নাগাদ সেখান থেকে সেদিনের ভোট গ্রহণ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে পরেছিলেন তিনি। আর সেখানেই ঘটেছিল বিপত্তি।

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের বয়ালের (Boyal) ৭ নম্বর বুথের মধ্যে আটকে পড়েন মমতা। বাইরে তখন শয়ে শয়ে লোকজন বাঁশ, লাঠিশোটা নিয়ে জড়ো হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ বাঁধার পরিস্থিতি। পরে অবশ্য নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পর্যবেক্ষকের আশ্বাসে সেখান থেকে বেরিয়ে যান মমতা। তবে ৭ নম্বর বুথের ভোট কেন্দ্রে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যপালকে ফোন করে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের আর্জি জানান।

বয়াল কাণ্ডে কমিশনের দ্বারস্থ ক্ষুব্ধ বিজেপি, অভিযোগ মমতার দু'ঘণ্টার অবস্থান নিয়েই

তারপরই বুথ থেকে বেরিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিঁধে ছিলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন বয়ালের ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোট ছাপ্পা পড়েছে, এমনকি তিনি নির্বাচন কমিশনকে ৬৩টি অভিযোগ জানালেও, তার একটিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানিয়ে ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের আবেদনও জানিয়ে ছিলেন মমতা। এমনকি এনিয়ে তিনি আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেদিন।

EC likely to announce West Bengal Assembly election schedule in Feb 1st week - Elections News

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেদিনের সেই অভিযোগের বিস্তারিত জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। বয়ালের ৭ নম্বর বুথে ৮০ শতাংশ ভোট ছাপ্পা পড়ার অভিযোগ রীতিমত উড়িয়ে দিল কমিশন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেদিনের অভিযোগে ভুল তথ্য দেওয়ার হয়েছিল বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। যার কারনে আদর্শ আচারন বিধির বিবিধ ধারা ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে কমিশন বলে জানা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর