বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের আগের দিন মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর নির্বাচন কমিশন কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁরা বাহিনীকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের পর চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গ্রামবাসীদের আক্রমণের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চালানো গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন গ্রামবাসী প্রাণ হারান। আর সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
শীতলকুচির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা অথবা জমায়েত হলে গুলি চালাতে পারবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন জটলাকারীদের CRPC ১৫১ অথবা ১৮১ ধারায় আটক করার নির্দেশিকা জারি করেছে। দরকারে তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্যের নির্বাচনী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ওই বৈঠকে শীতলকুচির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেখানেই বাহিনীকে গুলি না চালানোর কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ায় কমিশন। আধিকারিকরা জানিয়ে দেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে আপত্তিকর কিছু নেই।
এছাড়াও কমিশনের এই বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, শেষ তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি দফার নির্বাচন হবে রাজ্যে। আরেকদিকে, আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কমিশন, এই বৈঠকে প্রচারে জমায়েত নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।