বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাত্র দুবছর আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, ৭ মাসের একটি ফুটফুটে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু অকালেই মাত্র ৩০ বছর বয়সে করোনার (covid-19) কাছে হার মানলেন তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানী শুভজিৎ ঘোষ। মুম্বইয়ের ভাবা এটোমিক রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত ছিলেন তিনি।
গতবছরের তুলনায় এবারের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে হাসপাতালের বেড এবং অক্সিজেন সংকটের জন্য। বিভিন্ন মাধ্যমে অক্সিজেনে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে প্রয়োজনীয় হাসপাতালগুলোতে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার সবরকম প্রচেষ্টা জারি রেখে সরকার।
দক্ষিণ কলকাতার ছেলে শুভজিৎ যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল থেকে পাস করে প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়নের স্নাতক ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৪ সালে মুম্বইয়ের ভাবা এটোমিক রিসার্চ সেন্টারে কাজের সুযোগ পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাননি। সেখানেই থেকে যান।
২ বছর আগে ঋতিকা ভট্টাচার্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানী শুভজিৎ ঘোষ। এরপর তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে সন্তানও। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত হন এই তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানী। প্রথম দিকে বাড়িতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও, পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবন্নতির কারণে তাঁকে মুম্বইয়ের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
আগে থাকতেই হাঁপানির সমস্যা ছিল শুভজিৎ ঘোষের। সেই কারণে নিয়মিত ইনহেলারও নিতেন তিনি। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে যাওয়ার কারণে চেষ্টা করেও বিফল হন চিকিৎসকরা। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই করোনা কেড়ে নিল আরও একটি তরতাজা প্রাণ। এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। শেষ সময়ে মুম্বইতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।