বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের গায়ক তথা জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পার প্রাক্তন প্রতিযোগী মইনুল আহসান নোবেলকে (nobel) নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শো ছাড়ার পর থেকেই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সে কোনও মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক নিয়েই হোক বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য, বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন নোবেল।
ফের একবার বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন বাংলাদেশি গায়ক। অতি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রক্তাক্ত ছবি শেয়ার করে গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানান নোবেল। এক ব্যক্তিকে নিশ্চিত পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান গায়ক। রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে তাঁর শরীর। সেই রক্তাক্ত অবস্থার ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে এই খবর জানিয়েছেন নোবেল।
নোবেলের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর গোটা মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ভ্রূতে গভীর ক্ষত। ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘এক বয়ষ্ক লোক অসতর্ক ভাবে রাস্তা পার হচ্ছিলো। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মাথার তালুতে ১২টা, বাম পাশের ভ্রু-তে ১৮টা, মোট ৩০ টা সেলাই পড়েছে। তবুও মনে তৃপ্তি অনুভব করছি কারন লোকটা নিরাপদ আছে। আর আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্।’
এই খবর ভাইরাল হতে পড়তেই মুখ খোলেন এক স্থানীয় ব্যক্তি। নিজেকে ওই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করে তিনি জানান, কোনো বৃদ্ধকে বাঁচাননি নোবেল। বরং এক ২৫-৩০ বছরের যুবকের উপর দিয়ে নিজের অসাবধানে বাইক চালিয়ে দিয়েছেন।
ওই ব্যক্তি লেখেন, ‘রাস্তার রং সাইড দিয়ে বাইক চালিয়ে চাইকেল চালককের ওপর দিয়ে বাইকটা চালিয়ে দিলে। রোজার মাসে লোকটি হয়তো সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতার করত তাকে মৃত্যুমুখী করে দিলে। আর অন্য একজন বৃদ্ধকে বাঁচানোর গল্প শোনাচ্ছ! বাহ! কি সুন্দর মিথ্যাচার করতে করে আল্লার থেকে শুকরিয়া আদায় করছ’!’
নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই বেশ ক্ষেপে গিয়েছেন নোবেল। প্রথম প্রথম চুপচাপ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা চওড়া পোস্ট করেছেন তিনি। নোবেল লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্য অথবা সৌভাগ্যবষত, আমার মৌলিক প্রোফেশান অথবা বিনোদনের মাধ্যম গান শোনা, তারপর গান গাওয়া। যা হয়তো অনেকের পছন্দ, অনেকের নয়। সে বিষয়ে দু:খিত।’
সংবাদ মাধ্যমের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে নোবেল লিখেছেন, ‘ছোটোবেলায় নিউজপেপারে সুডোকু খেলতাম। শুকরিয়া। এরপর নিউজপেপার আর আমার কোন কাজে এসেছে? ঠিক মনে পড়েনা। তবে হ্যাঁ! যেহেতু ‘নোবেল’ আপনাদের কাছে একটা পরিচিত নাম, এই নামে কিছু নিউজ তো ছাপা হতেই পারে। এতে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই।’
সবশেষে তিনি এও লিখেছেন মাথায় ৩০টা সেলাই নিয়ে কেউ তামাশা করে না। আর তিনি জ্ঞানে অজ্ঞানে কখনোই মিথ্যে কথা বলেননি। এই পোস্টের পর অনেকেই সমর্থন করেছেন নোবেলকে। আবার অনেকেই ভরসা করতে পারেননি তাঁর কথা কথা বার্তা।