বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোট পরবর্তীতে গোটা বাংলা জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক হিংসার আগুন। এই পরিস্থিতিতে ঘরছাড়া বহু রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক। এমনকি সংঘর্ষের জেরে বলিও হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এসবের জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিছুদিন আগেই এক বৈঠকে জানিয়েছিলেন- রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের আর মাথা ঘামাতে হবে না। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই এর উল্টো সুর শোনা গেল বিজেপির তিন হেভিওয়েট নেতার গলায়।
শুক্রবার রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি-র দফতরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ প্রমুখরা।
এই বৈঠকেই তৃণমূল থেকে আগত তিন দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংহ এবং সৌমিত্র খাঁ ‘অতি সরব’ হওয়ায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা কিছুটা ক্ষুন্ন হন। তবে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, তাঁদের আচরণে কিছুটা প্রকাশ পাওয়া গেল।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে সৌমিত্র খাঁ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বাঁকুড়ার বাইরে অন্য জেলা পরিদর্শনে তিনি যাবেন না। এলাকার লোকেদেরই এলাকার সমস্যা মেটানোর কথা বলেন তিনি। প্রয়োজনে সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়ে সমস্যা সমাধানের কথা তিনি বলেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দাবি করে অর্জুন সিং বলেন, ‘রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রাজ্যের নেতারা কিছুই করতে পারবেন না। আক্রান্ত কর্মীরা যদিও বা কথা বলছেন, পরাজিত কর্মীরা ফোনে কথাও বলতে চাইছেন না’।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা