বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ইয়াসের তাণ্ডবে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, তলিয়ে গিয়েছে বহু বাড়িঘর। বাংলাতেও ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট ভয়াবহ। বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে অবস্থা মর্মান্তিক। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক কোটি মানুষ।
আগামীকাল ঝড়ে বিধ্বস্ত এই সমস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের ইয়াস নামকরণ করেছিল ওমান। যার অর্থ সুগন্ধী ফুল। অন্য আর এক অর্থে অবশ্য দুঃখ-দুর্দশাও বোঝানো হয়। এই ঝড় যে বাংলার জন্য রীতিমতো দুঃখ দুর্দশার কারণ হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য।
এবার ইয়াসের পরের ঘূর্ণিঝড়ের আগাম নাম রাখল পাকিস্তান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘গুলাব’ বা গোলাপ। ঝড়ের নামকরণের এই রীতি অবশ্য বেশি পুরোনো নয়। এক সময় সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হতো বিভিন্ন ঝড়কে। কিন্তু মানুষকে সহজে সতর্ক করার স্বার্থে শুরু হয় নামকরণ। ২০০৪ সালে প্রথমবার শুরু হয় এই রীতি। সেবার ঝড়ের নাম অনিল রেখেছিল বাংলাদেশ।
মূলত এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ এর দায়িত্ব রয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডাব্লু এম ওর উপর। তবে এশিয়ার ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পালন করে ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক নামক একটি সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছে মোট ১৩টি দেশ ভারত, ইরান, মলদ্বীপ, বংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দ্যা ইউএই এবং ইমিন।
২০০৯ সালে আছড়ে পড়া বিখ্যাত ঘূর্ণিঝড় আয়লার নাম রেখেছিল মালদ্বীপ। গতবছর আছড়ে পড়া আমফান ঝড়ের নামটি রেখেছিল থাইল্যান্ড। ফনি নাম রেখেছিল বাংলাদেশ, সাম্প্রতিককালে আছড়ে পড়া তাওকতে ঝড়ের নামটি রেখেছিল মায়ানমার। গতবছরের ‘বুলবুল’ ঝড়ের নাম রেখেছিল পাকিস্তান।
ভারতের তরফেও বেশকিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মেঘ, লহর, অগ্নি, বিজলী ইত্যাদি৷ নামের ক্ষেত্রে ছোট শব্দ ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয় এবং অবশ্যই তার সহজ হতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী যে মহাসাগরে ঝড় আছড়ে পরে, নামকরণের দায়িত্ব পায় তার তীরবর্তী দেশ গুলি। কারণ সচেতনতাই নামকরণের প্রধান উদ্দেশ্য।