বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রামে হারের কথাও।
ইয়াস পরবর্তী বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী এলেও, তাঁর সঙ্গে ভদ্র আচরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখে, মাত্র ৫ মিনিটের জন্য এসে লিখিত আবেদন ধরিয়ে দিয়েই আবারও সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী- এমনটা অভিযোগ করেছে বিরধীরা। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগের পাল্টা যুক্তি এবং জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার বলেছেন বাংলার ভালোর জন্য প্রয়োজনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁতেও রাজী, কিন্তু তাঁকে যেন অযথা অপমান, বদনাম না করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, ইয়াস-পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে কেন ডাকা হল? শনিবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি কথার পাল্টা জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কড়া ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর অপমানের পাল্টা জবাব থেকে শুরু করে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর হার- সবকিছুই তুলে ধরলেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ‘ওড়িশার ইয়াস বৈঠকে বিরোধী দলনেতা প্রদীপ নায়েককে ডাকা হলেও, তিনি করোনা পজেটিভ হওয়ার কারণে সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বৈঠকে থাকার কথা বলে হলেও, তিনি দিল্লীতে থাকার কারণে আসতে পারেননি। আর আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই ফোন করে ডাকা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মনে হয় এসব জানেন না’।
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘বিরোধী দলনেতাকে মর্যাদা দিতে পারেন না আপনি। নন্দীগ্রামে আমার কাছে হেরে গিয়ে আপনি দুঃখ, যন্ত্রণায় আছেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একজন বিধায়ক হিসাবে হেরে গিয়েছেন আপনি। আর মানুষের নির্বাচিত বিধায়ককে অপমান করতে পারেন না। ভালো কাজ করলে সহযোগিতা করতে পারি, তবে ফিসফ্রাই খাইয়ে ম্যানেজ করতে পারবেন না আমাদের’।
শুভেন্দুর কথায়, ‘আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনেকবার আপনি অপমান করেছেন। তাঁর পায়ে পড়ার প্রয়োজনে নেই, সংবিধানটুকু শুধু মেনে চললেই হব। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান ও মর্যাদা দেবেন। তবেই আপনাকে আমরা সম্মান করতে পারব’।