বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে ভোট শেষ, ফলাফল ঘোষণা হয়েছে আজ থেকে ঠিক একমাস আগে। ২ মে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress)। আর তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। দিকে দিকে বিরোধী দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (Bharatiya Janata party) ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে। এমনকি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছেন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। এই সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এছাড়াও রাজ্যের ২ হাজারের বেশী মহিলা আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবগত করিয়েছেন। এবং ১৪৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যে চলা রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আর এরই মধ্যে বিজেপির নেতা বিস্ফোরক মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। এদিন তিনি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে শীতলকুচি এবং দিনহাটায় যান। ওনার সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। সায়ন্তন বসু সেখানে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, একমাস পরেও রাজ্যে সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি।
সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমরা যখন এখানে আসছিলাম তখন পুলিশের সামনেই একদল মানুষ আমাদের দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিল। আমাদের বহু কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই প্রাণ গিয়েছে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে। এভাবে চলতে থাকলে এই সরকার ছয় মাসের বেশী টিকবে না। কেন্দ্র সরকার হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।” স্বভাবতই সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে যখন অনেকেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছেন, তখন আরেকদিকে সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্য জল্পনা উস্কে দিল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ।