বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ নবান্নের সভাঘরে বণিকসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে ২৯টি বণিক সংগঠন যোগ দিয়েছে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলায় অন্য রাজ্যগুলোর মতন লকডাউন করিনি। ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে সবকিছু বন্ধ করে দিইনি। বাজারও পুরোপুরি বন্ধ করিনি। কার্ফুও জারি করিনি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে রেস্তোরাঁর ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মিষ্টির দোকান যেমন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখেছি। তেমন রেস্তোরাঁও খোলা থাক।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রেস্তোরাঁ খোলার জন্য নতুন সময়ের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সমস্ত নিয়ম বিধি মেনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাক রেস্তোরাঁ। তিনি জানান, রেস্তোরাঁর কর্মীদের টিকাকরন করিয়ে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা হোক। এছাড়াও হোটেল এবং রেস্তোরাঁর কাজ অনলাইনে বেশী করে চালানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হোটেল কর্মীদের টিকাকরণ করিয়ে হোটেল খোলার কথা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার হাট বাজার নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হোক। তবে বেশী মানুষ যাতে একত্রিত না হয়, সেটা মাথায় রাখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে বলেন, আপনারা নিজেদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করুন। ওই টিকা আপনাদেরই কিনতে হবে। আপনারা মনে করবেন যে, আপনারা টিকার টাকা রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করছেন।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ বা রাজ্যের বিপর্যয়ে বণিকসভার বড় ভূমিকা আছে। আপনারা সেই ভূমিকা পালন করুন। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে টাকা দিলে আমরা সেই টাকা দিয়ে টিকা কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পাড়ি। স্বাস্থ্য বিভাগ টিকা কেনার জন্য সহযোগিতা করবে।”