বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনাকালে সবথেকে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন। একদিকে যখন গবেষকরা বলছেন রোগের মারণ প্রভাব কমাতে একমাত্র উপায় হল ভ্যাকসিন, তখনই অন্যদিকে ভ্যাকসিনের অভাবে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে টিকাকরণের গতি। অন্যদিকে দাম নিয়েও তৈরি হয়েছে যথেষ্ট জল্পনা। ফাইজারের মত বিদেশি ভ্যাকসিন গুলি যথেষ্ট দামি। যার জেরে হাজার টাকার কাছাকাছি খরচা করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব নয় অনেকের পক্ষেই। একই অবস্থা কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনেরও। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের দাম প্রায় ৬০০ টাকা, কোভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় ৮০০ টাকা। এবার এই সমস্যার সমাধান ঘটাল ভারতের দ্বিতীয় ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ভ্যাকসিন কর্বেভ্যাক্স। প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের দাম পড়বে মাত্র ৪০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কর্বেভ্যাক্স প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বায়োলজিক্যাল ই” এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত সরকার। প্রায় ৩০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ অর্ডার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। খরচ করা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। যদিও এখনো বাজারে আসেনি এই ভ্যাকসিন। আপাতত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ট্রায়াল শেষ করে তৃতীয় ট্রায়াল’ শুরু করেছে বায়োলজিক্যাল-ই। হায়দ্রাবাদের এই নামী ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই যথেষ্ট আশা জাগিয়েছে। প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্বে সাফল্যের হার যথেষ্ট বেশি। তাই তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা চালানোর জন্য সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস অ্যান্ডস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
সংস্থার আধিকারিকদের আশা, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন। তৃতীয় পর্বের পরীক্ষায় সফলভাবে পাশ করলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতীয় বাজারে আসতে চলেছে ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাজ। সংস্থার আধিকারিকরা জানান, আপাতত কর্বেভ্যাক্সই হতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে কম দামী ভ্যাকসিন। সব ধরনের মানুষকে কোভিডের এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতেই ভ্যাকসিনের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখার চিন্তাভাবনা করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ভ্যাকসিনটি বাজারে এলে ভারতের হাতে মোট পাঁচটি ভ্যাকসিন থাকবে। ফাইজারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। রয়েছে স্পুটনিক ভি। এছাড়া কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন তো রয়েছেই। এখন ডিসেম্বরে যদি কর্বেভ্যাক্স বাজারে আসে তাহলে টিকাকরণের গতিতে যে অনেকটাই প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য।