বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বই দশকে ‘হিমেশ জ্বর’এ কাবু ছিল গোটা বলিউড। একের পর এক ছবিতে হিমেশ রেশমিয়ার (himesh reshammiya) সুর করা ও গাওয়া প্রত্যেকটি গান সুপারহিট হত। ‘ঝলক দিখলা যা’, ‘তেরা সুরুর’, ‘আশিক বানায়া আপনে’র মতো গান নিয়ে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। হিমেশের গান তখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরত।
বিশেষ করে হিমেশের গানের আলাদা ধরনের জন্য দ্রুত লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে নাকি সুরে গান গাইতে শোনা যেত তাঁকে। তবে তুমুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি হাসি মশকরার পাত্রও হতে হয়েছিল হিমেশকে। তাঁর এমন নাকি সুরে গান গাওয়া নিয়ে বহুবার প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল।
ক্রমাগত বিদ্রুপ সহ্য করতে করতে এক সময় বড়সড় ভুল করে বসেন হিমেশ। নিজের সঙ্গে কিংবদন্তী সুরকার তথা গায়ক আর ডি বর্মণের (R D barman) তুলনা করে বসেন তিনি। ২০০৬ সালে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হিমেশ বলেন, আর ডি বর্মণও তাঁর মতোই নাকি সুরে গান গাইতেন। কিন্তু তাঁকে কখনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।
হিমেশের এমন দাবি শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বর্ষীয়ান গায়িকা আশা ভোঁসলে (asha bhosle)। তবে সরাসরি হিমেশের নাম না নিয়ে পরোক্ষে গায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান গায়িকা মন্তব্য করেন, ‘কেউ যদি বলে বর্মণ সাহেব নাকি সুরে গান গাইতেন তাহলে তাকে চড় মারা উচিত।’
আশা ভোঁসলের এমন মন্তব্য শুনেই তড়িঘড়ি নিজের ভুল শুধরে নেন হিমেশ। তিনি বলেন, আর ডি বর্মণকে অপমান করার মতো ধৃষ্টতা তাঁর নেই। লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল এবং বর্মণ সাহেবকে দেখেই তিনি গানে সুর দেওয়া শিখেছেন। হিমেশ আরো বলেন, এক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পর তাঁর গায়কী নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। সমস্ত হিট গান থাকা সত্ত্বেও এমন বিদ্রুপের জন্য ওই মন্তব্য করেছিলেন বলে জানান হিমেশ।