বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ (CRPF) এর কম্যান্ডো কীর্তি চক্র সম্মানে সম্মানিত চেতন চিতা (Chetan Cheetah) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় বলে জানিয়েছেন ওনার স্ত্রী। বিগত ৯ দিন ধরে তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন। একদিন আগে ওনাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরানো হয়। হরিয়ানার AIIMS এ ভর্তি চেতন চিতা করোনাকে হারিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ওনার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক।
ওনাকে ৯ দিন পর যখন ভেন্টিলেটর থেকে সরানো হয়, তখন সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কারণ তখন সবাই ভেবেছিল যে ৪৫ বছর বয়সী সিআরপিএফ আধিকারিক এখন অনেকটাই সুস্থ। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে ওনাকে আবারও ভেন্টিলেটরে সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসকরা জানান, ওনার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে একটু ভালো, আর শরীরের অনেক অঙ্গ কাজ করা শুরু করেছে। ওনার শরীরের অক্সিজেনের লেভেল কমে ৯৪ হয়েছে।
ওনার পরিবার জানায় যে, ওনার হাতটিই একমাত্র সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনকাউন্টারের সময় হাতে গুলি লেগেছিল ওনার। ২০১৭ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এনকাউন্টারের সময় ওনার শরীরে ৯টি গুলি লেগেছিল। চেতন চিতার স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি জানি উনি একজন বড় যোদ্ধা। আমরা এই লড়াইয়ে হারব না। ইশ্বর এমন অন্যায় কীভাবে করতে পারে?” চেতন চিতার স্ত্রী চোখে জল নিয়ে বলেন, এখন দেশবাসীর প্রার্থনার দরকার। আমার ছেলেও করোনা পজেটিভ।
চেতন ৯ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি। পরিজনেরা ওনাকে দিল্লীর এইমস অথবা কোনও বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চায়। CRPF-এর তরফ থেকে চেতনের চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ সাহায্য করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন যে, চেতন চিতা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ডান চোখ, পেট, দুই হাত, পিঠ আর কোমরে ৯টি গুলি খেয়েছিল চেতন চিতা। এরপরেও তিনি হার মানেননি। আর প্রায় একবছর পর তিনি সিআরপিএফ এর হেডকোয়ার্টারে কমান্ডেন্ট হিসেবে ডিউটি শুরু করেন। নিজের উর্দিকে দ্বিতীয় ‘ত্বক” বলেন তিনি। বলে দিই, একটি তল্লাশি অভিযানের সময় সিআরপিএফ-এর ৪৫ ব্যাটালিয়নের উপর গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেখানেই আহত হয়েছিলেন চেতন।