বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বারবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ যাচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। একদিন আগেও দুজনের সাংসদ পদ খারিজের জন্য ওম বিড়লাকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে, বিজেপি যখন দলত্যাগী বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে তাঁর বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করার উদ্যোগ নিয়েছে, তখন আরেকদিকে তৃণমূলও একই উদ্যোগ নিয়েছে তাঁদের দলত্যাগী সাংসদদের পদ খারিজ করতে।
দুই শিবিরেই যখন চাপ, পাল্টা চাপের রাজনীতি চলছে, তখন মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, কাঁথির প্রবীণ সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি শুধু বিজেপিকে সমর্থন করেছেন মাত্র। দিলীপবাবু আরও বলেন, ‘শিশির আর দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। ওনারা আমাদের দলের হয়ে ভাষণও দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। ওনারা শুধু সমর্থন করেছেন আমাদের।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনের মধ্যে অমিত শাহের কাঁথির সভার দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি সেই মঞ্চ থেকে বাংলার দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানান। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, ওনাকে সেদিন বিজেপি পতাকা হাতে নিতে দেখা যায়নি। আর এই কারণেই হয়ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু বলছেন যে, শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি।
যদিও পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ কিছু বলেন নি। কারণ ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডল আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর তিনি অমিত শাহের হাত থেকে দলীয় পতাকাও তুলে নিয়েছিলেন। সেই কারণেই সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেননি সেটা দিলীপ ঘোষ আর বলেননি। উল্লেখ্য, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপির এই উদ্যোগের পর তৃণমূলও তাঁদের দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য তৎপর হয়েছে।