বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইরতিজা রুবাব, তবে মীরা (meera) নামেই তিনি বেশি পরিচিত পাক (pakistan) ও ভারতীয় বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। পাকিস্তানি এই অভিনেত্রী সে দেশের একজন জনপ্রিয় অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত তারকা। কিন্তু আরো খ্যাতির লোভে ভারতে আসতেই তাঁর কেরিয়ারের বারোটা বাজে। এমনকি পরিচালক মহেশ ভাটের (mahesh bhatt) চড়ও খেতে হয়েছিল মীরাকে।
১৯৯৫ সালে পাকিস্তানি ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় শুরু করেন মীরা। উর্দু, হিন্দি ও পাঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ‘খিলোনা’ নামে একটি পাক ছবিতে মীরার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন দর্শকরা। সে দেশের সম্মানীয় ‘নিগর পুরস্কার’ও পান তিনি। উপরন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় সময়েই বিতর্কে থাকতেন মীরা।
২০০৫ এ ভাগ্যপরীক্ষার জন্য বলিউডে আসেন মীরা। তবে তাঁর ভুল হয়েছিল এটা ভেবে বলিউডেও তাঁর জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। মাত্র তিনটি ছবি নজর, কসক ও পাঁচ ঘন্টে মে পাঁচ ক্রোড়-এ অভিনয় করেছিলেন মীরা। তিনটি ছবিই চরম ফ্লপ হয়েছিল বক্স অফিসে। উপরন্তু হেভিওয়েট পরিচালক মহেশ ভাটের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে নিজেই নিজের বলিউড কেরিয়ারের পায়ে কুড়ুল মেরেছিলেন মীরা।
আসলে সেই সময় মহেশ ভাট তাঁকে অন্য পরিচালকের অধীনে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁকে লুকিয়ে অন্য পরিচালকের কাছে যাওয়ায় মীরাকে চড় মেরে বসেন মহেশ ভাট। বিতর্কে থাকার সুযোগ হারাতে চাননি অভিনেত্রী। কিন্তু সেই বিতর্কই তাঁর কাল হয়েছিল। মীরা দাবি করেছিলেন মহেশ ভাট তাঁকে অন্য নজরে দেখে। কিন্তু মহেশের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় বলিউডি কেরিয়ারের ওইখানেই ইতি টানতে হয় মীরাকে।
তল্পিতল্পা গুটিয়ে আবারো নিজের মুলুকে ফিরে যান মীরা। তবে পাকিস্তানে তিনি তখনো জনপ্রিয় ছিলেন। এখনো পাক সিনেমা ও সিরিয়ালেই অভিনয় করছেন মীরা। তবে বিতর্কের তখনো বাকি ছিল। সম্প্রতি একটি খবরে আবারো খবরে উঠে আসেন মীরা। তিনি নাকি মার্কিন মুলুকের এক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি? কী ব্যাপার?
জানা যায় করোনা ভ্যাকসিন নিতে আমেরিকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান মীরা। সেখানেও তিনি তারকাসুলভ ব্যবহারই আশা করেছিলেন। কিন্তু নিজের ভয়াবহ ইংরেজি দিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ফাঁপড়ে পড়েন মীরা। তাঁর ভুলভাল ইংরেজি শুনে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন ভেবে বসেন।
মীরার ঠাঁই হয় মানসিক হাসপাতালে। চিৎকার চেঁচামেচিতে পরিস্থিতি আরো সঙ্গীনই হয়। কয়েকদিন সেখানে কাটানোর পর কোনোভাবে তিনি চিকিৎসকদের পাকিস্তানের বাড়িতে তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে সক্ষম হন। এরপর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সহযোগিতায় আমেরিকার পাক দূতাবাস মীরাকে মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়ায়।