বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের পরপর দু’দিন রাজ্যে ট্রেন চালানো নিয়ে যাত্রীদের বিক্ষোভ দেখা গেল। সোনাপুর স্টেশনে ট্রেন চালানো নিয়ে সাধারণ মানুষ অবরোধ থেকে শুরু করে তাণ্ডবও চালায়। তবে, বিক্ষোভ যতই হোক ট্রেন যে এখনই চালু হচ্ছে না সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কোভিড ঠেকাতে বিধিনিষেধ লাগু আছে, এমন প্রশ্ন করবেন না যাতে প্ররোচনা ছড়ায়। আগে করোনা কমতে দিন, তারপর দেখা যাবে। এখন রেল চালালে দুনিয়ার লোক কোভিডে আক্রান্ত হবে, তখন কে দেখবে?”
বলে দিই, করোনার দ্বিতীয় ঠেকাতে ৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এরপর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ১৬ মে রাজ্যে ‘কার্যত লকডাউ” ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওনার ভাষায় এটি লকডাউন না, এটি বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধে দোকান-বাজার সময়মতো খোলা আর বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে বাস, অটো, ফেরি, ট্যাক্সি সমস্ত কিছু চলাচল বন্ধের নির্দেশিকাও জারি করা হয় নবান্নের পক্ষ থেকে।
বর্তমানে বাংলায় কোভিডের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তবে কোভিড হ্রাস পেলেই এখনি যে ট্রেন চালানো হবে না, সেটা আজ কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্র। তিনি বলেন, ‘এখন ট্রেন চালানো হলে দুনিয়ার মানুষের কোভিড হবে, তখন কে দেখবে।”
ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে অনেকেরই জীবন-যাপন করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আরেকদিকে, সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ার নির্দেশিকার পর অফিসকর্মীরা যাতায়াত কীভাবে করবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমার পর অনেকেই ভেবেছিল যে, এবার হয়ত ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে, তবে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন।