বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের কেস। ভ্যাকসিন জালিয়াতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে, দেবাঞ্জনের নানান কীর্তি সামনে আসছে। তবে এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল আরও এক জালিয়াত দম্পতি। বাপ্পাদিত্য সাহা নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের মুখ্যসচিব এবং তাঁর স্ত্রী ডিম্পি সাহাকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরচিয় দিয়ে, এক যুবকের থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকে সামনে এসেছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা অভিযোগকারী সৌভিক দেবনাথের। সেই মামলায় কিছু সমস্যা থাকার কারণে বাপ্পাদিত্য সাহার দারস্থ হন সৌভিক। এই বাপ্পাদিত্য সাহা নিজেকে মানবাধিকার কমিশনে মুখ্যসচিব বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
সৌভিক দেবনাথ জানান, ‘১৫ দিনের মধ্যেই বিবাহ-বিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বাপ্পাদিত্য সাহা। তাঁর বাড়িতে নীলবাতির গাড়িও ছিল। যার কারণে তাঁকে ”ভুয়ো” বলে মনেই হয়নি। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পর তাঁরা সে মানি রিসিপ্ট দেয়, সেটা দেখেই প্রথম সন্দেহ হয়’।
সৌভিক আরও জানান, ‘এরপর বাপ্পাদিত্য সাহার স্ত্রী ডিম্পি সাহা, যিনি নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরচিয় দিয়েছিলেন, তিনি আমাকে বলেন- মানবাধিকার কমিশনের হয়ে কিছু টাকা তাঁদের তুলে দিতে হবে। এই কথায় খটকা লাগায়, আমি না করে দিই। তখন তাঁরা জানান, তাঁদের কাজ না করে দিলে, বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলার কোন নিষ্পত্তি করবেন না। এরপর তাঁদের থেকে টাকা ফেরত চাইলেও, তাঁরা তা দিতে অস্বীকার করে’।
এই ঘটনার পরবর্তীতে নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই সাহা দম্পতির নামে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ জানান সৌভিক দেবনাথ। যার ফলে দেবাঞ্জন দেবের পর রাজ্যে আরও এক ভুয়ো সরকারী পদাধীকারীদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।