বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেক ক্ষেত্রেই একটি সমালোচনা বারবার সামনে উঠে আসে, ভারত ক্রীড়াপ্রেমী নয় ক্রিকেটপ্রেমী। ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোন খেলা বা খেলোয়াড়রা ভারতের সেভাবে মূল্য পান না। আরও একবার সামনে এলো এমনই এক ঘটনা। ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা প্যারা শুটার দিলরাজ কৌর, যিনি ভারতের হয়ে প্যারা অলিম্পিকে রুপোর পদক এবং জাতীয় স্তরে প্রায় ২৮টি সোনার মেডেল জিতেছিলেন তাকেই আজ চালাতে হচ্ছে চিপস বিক্রি করে।
দেরাদুনের এই ঘটনা যে কতখানি লজ্জাকর, তা আলাদা করে না বললেও চলে। ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক প্যারা শুটার হিসেবে ভারতকে গর্বিত করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে কেরিয়ার শুরু করা এই ক্রীড়াবিদ এখন রীতিমতো সমস্যায়। দিলরাজ বলেন, “আমি ২০০৪ সালে প্যারা শুটিং শুরু করেছিলাম। এ পর্যন্ত জাতীয় স্তরে ২৮ টি স্বর্ণ, ৮ টি রৌপ্য এবং ৩ টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছি এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছি।”
প্রতিবন্ধী এই এয়ার পিস্তল শুটার এখন মা গুরমিতের সাথে দেরাদুনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। পরিস্থিতি এখন এতটাই খারাপ যে দিন চালানো দায় হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। কয়েক বছর আগেই বাবার অসুস্থতার কারণে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হয় দিলরাজের পরিবারকে। তারপরেও বাবাকে বাঁচাতে পারেননি তারা। এরই মাঝে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তার ভাইও। প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করেও ভাইকে বাঁচাতে পারেননি দিলরাজ। যার জেরে আর্থিক পরিস্থিতি এখন রীতিমতো খারাপ এই আন্তর্জাতিক এয়ার পিস্তল শুটারের।
সরকারি তরফে কোনও সাহায্য পাননি, ভারতকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি এনে দেওয়া এই ক্রীড়াবিদ। শেষপর্যন্ত এখন চিপস, বিস্কুট ইত্যাদি বিক্রি করেই জীবন চালাতে হচ্ছে তাকে। প্রথমে নিজের বাড়ির কাছেই চিপস বিক্রি করতেন দিলরাজ, এখন নিজের মায়ের সঙ্গে গান্ধী পার্কে চিপস বিক্রি করেন তিনি।
দিলরাজের আক্ষেপ, “যখন দেশের প্রয়োজন ছিল তখন আমি ছিলাম, কিন্তু এখন যখন আমার প্রয়োজন তখন কেউ নেই। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ, যে কারণেই আমরা বিস্কুট এবং চিপস বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি যাতে কোন মতে দিন চলে।” তিনি জানান ক্রীড়া বিভাগের তার সাফল্যের সমস্ত সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্পোর্টস কোটায় চাকরির জন্যও আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো ফল মেলেনি। আর কত দিলরাজ এভাবে শেষ হয়ে যাবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…