বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মা-বাবার সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল সাড়ে ছয় বছরের শিশুকন্যা। আর সেই সুযোগেই প্রতিবেশী এক যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামে। নির্যাতিতা শিশুকন্যাকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। শিশুকন্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, খেড়ুর গ্রামে আদিবাসী দিনমজুর দম্পতি রবিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। অত্যাধিক গরম পড়ার কারণে তাঁরা ঘরের দরজা খুলেই রেখেছিলেন, দিনমজুরের বাড়ি হওয়ায় চোরের ভয় ছিল না, কিন্তু তাঁদের জন্য যে এত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে, সেটা কোনদিনও আঁচ করতে পারেনি তাঁরা।
নির্যাতিতার মা জনান, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য উঠেছিলেন, তখনই তিনি দেখেন তাঁর বড় মেয়ে তাঁর পাশে নেই। এরপর তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করে। আশেপাশের মানুষদেরও ডাকাডাকি শুরু করেন আদিবাসী দম্পতি।
চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও মেলেনি মেয়ে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর কাদা মাখা অবস্থায় মেয়েতি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে। এরপর সে নিজের মুখেই জানায় যে, তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে। নির্যাতিতা প্রতিবেশী যুবক তীর্থ বাগ (লাদেন)-এর কুকীর্তি ফাঁস করে। এরপরই স্থানীয়রা লাদেনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়।
সোমবার ভোরে স্থানীয়রা লাদেনকে ধরে ফেলে। তাঁরা অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।