সাসপেন্ড হয়েও রাজ্যসভায় হাজির শান্তনু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে (Santanu Sen) বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হলেও চুপ করে বসে নেই শাসক দল। পাল্টা দিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (ashwini vaishnaw) বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব করলেন কৃষ্ণনগরের লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (mahua moitra)।

মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, গত ১৯ শে জুলাই লোকসভায় নিজের ভাষণে অশ্বিনী বৈষ্ণব পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা সম্পূর্ণ সত্য নয়। লোকসভায় সেদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, ‘অতীতেও হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাসের নজরদারি নিয়ে এমন দাবি করা হয়েছিল। তবে এই ধরণের দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং সুপ্রিম কোর্ট-সহ সব দল এই দাবি নস্যাৎ করেছে’।

69f76f68 c477 46e2 b49f bdea355da9a5

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের এই মন্তব্যকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষ্ণনগরের লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের এই দাবি, সম্পূর্ণ সত্য নয়। আর সেই কারণেই অশ্বিনী বৈষ্ণবের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছেন মহুয়া মৈত্র।

অন্যদিকে পেগাসাস কাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবারের রাজ্যসভার বাদল অধিবেশনে অশ্বিনী বৈষ্ণব হাতে কাগজ নিয়ে বিবৃতি দিতে উঠলে, তাঁর হাত থেকে কাগজ নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন শান্তনু সেন। এই ঘটনার পরবর্তীতে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। গোটা বাদল অধিবেশনে থাকতে পারবেন না এই তৃণমূল সাংসদ- এমনটাই জানা গিয়েছে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন রাজ্যসভা কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করলে শান্তনু সেনকে বাধা দেন মার্শালরা। তাঁকে আটকালে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘অসংসদীয়ভাবে রাজ্যসভা থেকে আমাকে সাসপেন্ড করার জন্য মোদীজি এবং অমিত শাহজি-কে ধন্যবাদ জানাই। তবে এইভাবে কিন্তু কিছুতেই মমতাদি এবং তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। শুধু হরদীপ পুরীকে তাঁর গুন্ডামি করার উপহার দেওয়া যেতে পারে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর