বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার হঠাৎই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে রাজনীতি ত্যাগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। অফিসিয়ালি এখনও সাংসদ কিম্বা দলীয় সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ না করলেও তার এরকম সিদ্ধান্ত ঘিরে এখন যথেষ্ট সরগরম রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। ২০১৪ সালে কার্যত একেবারেই আচমকা রাজনীতিতে আগমন ঘটেছিল বাবুল সুপ্রিয়র। তারপর আসানসোল জয়ের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের নতুন পরিচিতিও গড়ে তোলেন তিনি। হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এসব তথ্য কম বেশী সকলেরই জানা।
তবে তার এই হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে এবার সামনে এলো নতুন দৃশ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন রীতি মেনে সিধাবাড়ি গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন বাবুল। সালটা ছিল সেই ২০১৪। তারপর একাধিকবার এই গ্রামে এসেছেন বাবুল। শেষবার এই গ্রামে তিনি এসেছিলেন ২০১৯ সালে। তার এই হঠাৎ পদত্যাগে রীতিমতো মর্মাহত এই গ্রামের অনেক যুবক। আজ অনেকেই বলেন, আমরা এখন অনাথ হয়ে গেছি। এমনকি সেই সূত্র ধরে মাথা মুন্ডন করতেও শুরু করেন অনেকেই।
বাবুলের এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত হয়ে মাথা মুন্ডন করিয়েছেন এই গ্রামের যুবক অমর মন্ডলও। অমর বলেন, ‘‘বাবুল গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন উনি মন্ত্রী নেই। রাজনীতি থেকেও সরে গিয়েছেন। আমরা এখন অনাথ। ভেবেছিলাম, উনি এই গ্রামের জন্য ভাল কাজ করবেন। কিন্তু মাঝপথে ছেড়ে দিলেন। সেই দুঃখেই মাথা ন্যাড়া করলাম।’’ অমরের মত একই বক্তব্য রেখেছেন এলাকার আরেক বাসিন্দা বিনোদ দাসও।
যদিও বারাবনির এই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রয়োজনে সিধাবাড়ি গ্রামের উন্নয়নের বরাদ্দ বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবেন তিনি। তবে বাবুলকে হারানোয় এই গ্রামের বাসিন্দারা যে কার্যত স্বজনহারা প্রমাণ মিলল এই যুবকদের কথাটি।