বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রিকেট একদিকে যেমন পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে, সমর্থকদের কাছে প্রায় ভগবান হয়ে ওঠেন খেলোয়াড়রা, তেমনই আবার অনেক সফল ক্রিকেটারই জড়িয়ে পড়েছেন নানা খারাপ ঘটনায়। কারও মাথায় স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির খাঁড়া, কেউ আবার জড়িয়ে পড়েছেন নানান ফৌজদারি মামলায়। এমনই ছয় ক্রিকেটারকে নিয়ে আজ আলোচনা করব যাদের নাম কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে ফৌজদারি মামলা মোকদ্দমায়।
শ্রীসান্থঃ
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল, যোগিন্দর শর্মার বলে মিসবাহর ক্যাচ তালুবন্দী করলেন কেরালার এই ক্রিকেটার। গোটা ভারত সেদিন নেচে উঠেছিল উচ্ছ্বসিত আনন্দে। কারন প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু এই শ্রীসান্থই ২০১৩ সালের আইপিএলে জড়িয়ে পড়েন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে। মামলায় ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনও দেওয়া হয় তাকে। সম্প্রতি অবশ্য ব্যান কাটিয়ে ফের একবার মাঠে কামব্যাক করেছেন তিনি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিঃ
ভারতের সবথেকে সফল ক্যাপ্টেন যার ক্যাবিনেটে রয়েছে তিন তিনটি আইসিসি ট্রফি তাকেও জড়াতে হয়েছিল ফৌজদারি মামলায়। একটি বিজ্ঞাপনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখা গিয়েছিল ভগবান বিষ্ণুর সাজে। কিন্তু তার হাতে ছিল একটি বিশেষ কোম্পানির জুতো। যার জেরে হিন্দু সমাজের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে অভিযোগ তুলে কর্ণাটক হাইকোর্টে তার নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
নভজ্যোত সিং সিধুঃ
ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নভজ্যোত সিং সিধু, রীতিমতো মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সিধুকেও জড়াতে হয়েছিল এক ফৌজদারি মামলায়। ১৯৮৮ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনার পর এক লড়াইয়ে গুরনাম সিং নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। রাস্তার মধ্যেই গুরনামের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন সিধু। এই ঝামেলা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গুরনামের। দীর্ঘদিন যাবৎ চলেছিল এই মামলা, অবশেষে ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাব হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় জামিন পান এই ক্রিকেটার।
হার্সেল গিবসঃ
ভারতে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির মধ্যে সবথেকে চর্চিত ভারত সাউথ আফ্রিকা সিরিজ। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হার্সেল গিবস, ভারতের মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং অজয় জাদেজার নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। হার্সেল এমন একজন ক্রিকেটার যার নামে রয়েছে এক ওভারে ছটি ছক্কা মারার রেকর্ডও৷ কিন্তু তার মত একজন ব্যাটসম্যানকেও এ ধরনের ফৌজদারি মামলার মধ্যে পড়তে হয়েছিল।
মঈন খানঃ
পাকিস্তানি উইকেট কিপার মঈন খান মারকুটে ব্যাটিং এবং দুর্দান্ত কিপিংয়ের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে মদ খেয়ে অত্যাচার করার অপরাধে তার বিরুদ্ধেও জারি হয় ফৌজদারি মামলা। যা রীতিমতো সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটারের এরপরেও জড়িয়ে পড়েছেন ফৌজদারি অপরাধে। এক্ষেত্রে মহম্মদ আমিরের নাম সামনে উঠে আসে।
জেসি রাইডারঃ
নিউজিল্যান্ডের দক্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে জেসি রাইডার একজন পরিচিত মুখ। ভারতীয় একাধিকবার আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালে এই জেসি রাইডারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে ক্রাইস্টচার্চের একটি বিয়ার বারে মারপিট এবং ভাঙচুর করার। এই ঝামেলায় নিজেও আক্রান্ত হন এই বাঁহাতি ওপেনার। এই ঘটনার সূত্র ধরেই তার নামে দায়ের হয় ফৌজদারি মামলা।