বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক পদে হেরে গেলেও, দলের জয়ের ফলে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিয়মানুযায়ী, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে নিজের আসন ধরে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সময় এগিয়ে এলেও উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। করোনা আবহে এখনও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। আর এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই, উপনির্বাচন না করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিল বিজেপি শিবির।
একদিকে যখন উপনির্বাচনের জন্য দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হচ্ছে তৃণমূল শিবির, তখন অন্যদিকে উপনির্বাচনের বিরুদ্ধে সওয়াল করছে বিরোধী দল বিজেপি। ‘রাজ্যে এখন উপনির্বাচনের পরিবেশ নেই’- এই মর্মে আট দফা কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিল গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকার শুধুমাত্র বিধিনিষেধের দোহাই দিয়ে বিজেপির মিটিং মিছিল আটকে দিচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার হতে হয়েছিল দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরীদের। রাজ্যে এখনও স্বাভাবিক হয়নি লোকাল ট্রেন চলাচল, বাসেও নেওয়া হচ্ছে কম লোক। তারউপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পুজোর মরশুমে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন সম্ভব নয়।
অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে উপনির্বাচনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যে বর্তমানে তৃণমূল সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিক থেকে অনকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন না হলেও, সংকট তৈরি হবে না। তাই মানুষের স্বার্থে এই সময় করোনা আবহে উপনির্বাচন সম্ভব নয় বাংলায়।