মাছ দেখলেই বমি আসে, শুটিং সেটে মাছ রাঁধতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের মুখে মুখে এখন একটাই নাম ‘মিঠাই’ (mithai)। কার্যতই অসাধ‍্য সাধন করেছে জি বাংলার এই সিরিয়াল। টানা দু মাসেরও বেশি দিন ধরে টিআরপি তালিকায় একাই রাজত্ব করছে মিঠাই। এতদিনেও এই শীর্ষস্থান কেউ টলাতে পারেনি। ময়রা বাড়ির মেয়ে ও ময়রা বাড়ির বৌমা মিঠাই নিজের মিষ্টি কাণ্ডকারখানা দিয়েই জয় করে নিয়েছে দর্শকদের মন।

মেয়েরা যে শুধু ঘরের কাজ নয়, বাইরেও সমান ভাবে দায়িত্ব সামলাতে পারে সেটাই পদে পদে প্রমাণ করে দিচ্ছে মিঠাই। মোদক পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা, রকমারি রান্নাবান্না থেকে শুরু করে পারিবারিক ব‍্যবসা সিদ্ধেশ্বর মোদকের মিষ্টির দোকানের জোয়ালও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। এমন গুণবতী মেয়েকে ভাল না বেসে কি থাকা যায়!

mithai huj 1627555888
সিরিয়াল থেকেই জানা যায় রান্নাবান্নায় দারুন পটু মিঠাই। এক একদিন এক রকম পদ রেঁধে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় সে। বিশেষত বাঙালি বাড়িতে মাছের পদ তো হয়ই। একমাত্র ‘দাদুর লাটসাহেব নাতি’ সিদ্ধার্থই মাছ পছন্দ করে না। তবে বাকিরা সকলেই মিঠাইয়ের রান্নার ভক্ত। কাজেই টুকটাক মাছ রান্না করতেই হয় মিঠাইকে। তা সে কখনো আড় মাছের মুইঠ‍্যাই হোক বা সর্ষে পোস্ত দিয়ে দাদাইয়ের প্রিয় পার্ষে মাছ।

সিরিয়ালে তো দেখানো হয় খাঁটি বাঙালির মতোই মাছপ্রেমী মিঠাই। কিন্তু বাস্তবে ব‍্যাপারটাই একেবারেই উলটো। মিঠাই অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুণ্ডু (soumitrisha kundu) নাকি মাছ দেখলেই দূরে পালান। কাঁচা মাছের গন্ধ নাকে গেলেই নাকি তাঁর বমি আসে। কাজেই বুঝতেই পারছেন, সেটে মাছ রাঁধার সিন করতে গিয়ে ল‍্যাজে গোবরে অবস্থা হয়েছিল তাঁর।

mITHAI fi
সৌমিতৃষা জানান, আড় মাছের মুইঠ‍্যা বানানোর যে এপিসোড সেটার শট দেওয়ার পর একাধিক বার নাকি তাঁর বমি পেয়ে গিয়েছিল। পার্ষে মাছ ভাজার সময়েও গোপালকে স্মরণ করতে হয়েছিল সৌমিতৃষাকে। পাশ থেকে সেটের লোকজন অবশ‍্য সাহায‍্য করে দিয়েছিলেন তাঁকে।

এমনকি বাস্তবে নাকি মিঠাই মাছের কাঁটা বাঁছতেও জানেন না। এই বিষয়ে সিড অর্থাৎ আদৃত রায়ের সঙ্গে তাঁর বেশ মিল। দুজনেই মাছ পছন্দ করেন না। তবে এটা যদি ফিশ ফ্রাই বা ফিশ ফিঙ্গার হয় তাহলে অবশ‍্য আলাদা কথা। সেক্ষেত্রে এক প্লেট নিমেষে শেষ করে দিতে পারেন সৌমিতৃষা।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর