বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় জগতে ফিরলেন পাপিয়া অধিকারী (papiya adhikari)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তিনিও পা রেখেছিলেন রাজনীতিতে। বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন পাপিয়া। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়েও হারের মুখ দেখতে হয় তাঁকে। এরপরেই অভিনয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত।
আজ থেকে কালার্স বাংলার সিরিয়াল ‘দত্ত অ্যান্ড বউমা’তে (dutta and bouma) দেখা যাবে পাপিয়া অধিকারীকে। বাঙালি বনেদি পরিবারকে নিয়ে গল্প। এতদিন সকলে দোকানের নাম দেখে এসেছে ‘অমুক অ্যান্ড সন্স’। কিন্তু এই সিরিয়ালের গল্প প্রথা ভাঙার। সন্সের বদলে সেখানে বসছে বউমা। নাতবৌ এসে শ্বশুরবাড়ির গয়নার ব্যবসার হাল ধরবে।
এই সিরিয়ালে ‘সোনামা’র চরিত্রে অভিনয় করছেন পাপিয়া। কিন্তু তাঁর সমবয়সী অন্য অভিনেত্রীরা যেখানে বয়স্ক চরিত্র শুনলেই নাক সিঁটকান সেখানে অবলীলায় ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়ে গেলেন পাপিয়া! কীভাবে? সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রীর উত্তর, ঠাকুমা শুনে যেমন মনে হচ্ছে চরিত্রটি কিন্তু আদতেও অতটা বয়স্ক নয়। আসলে সোনামা ওরফে লাবণ্যপ্রভা দত্তের বিয়ে হয়েছিল ষোলো সতেরো বছর বয়সে। সেই হিসেবে এখন তাঁদের যেমন বয়স সেই আন্দাজে দিব্যি মানানসই।
পাপিয়ার কথায়, সোনামার চরিত্রটি বাড়ির কর্ত্রী। তাঁর আঙুলের নড়চড়েই সমস্ত কাজ হয়। অন্যতম লিড চরিত্র। তাই না বলার কোনো কারণই ছিল না তাঁর কাছে। রইল বাকি অন্য অভিনেত্রীদের কথা। কিছুটা কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, যে এক দুজন অভিনেত্রী বয়স্ক চরিত্র করতে চান না তাঁরা করবেন না। তাঁদের লোকে কমবয়সী চরিত্রে মেনে নিলে ভালই। তবে তার মানে এই নয় যে, ওরা করেন না বলে তিনি নিজেও করবেন না।
কথায় কথায় ওঠে রাজনীতির প্রসঙ্গও। নির্বাচনে হারের পরেই কি আবার অভিনয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত পাপিয়ার? অভিনেত্রীর উত্তর, তিনি শুরুই করেছিলেন অভিনয় দিয়ে। এটাই তাঁর ধর্ম এবং কর্ম। উদাহরণ হিসেবে তাপস পাল, শতাব্দী রায়ের নাম করে তিনি বলেন, এঁরাও যাত্রা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখন বারন করেননি। তবে তাঁর বেলায় কথা উঠবে কেন?
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পাপিয়া অধিকারী বলেন, শুধুমাত্র বিজেপিকে পছন্দ করার জন্য তৃণমূলের হামলার শিকার হচ্ছেন অনেকে। ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। এমনকি তৃণমূলের লোকেরা নাকি ঘরের মহিলাদের কুপ্রস্তাব দিচ্ছে বলেও অভিযোগ এসেছে বলে জানান পাপিয়া অধিকারী।
অভিনেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজনীতি তিনি ছাড়েননি। অভিনয়ে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক কর্তব্য ভোলেননি। ছোট থেকেই সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত তিনি। রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন বিষয়টা আরো বৃহত্তরে জায়গায় নিয়ে যেতে। পরের বার নির্বাচনে শেষ হাসি তিনিই হাসবেন, নিশ্চিত পাপিয়া অধিকারী।