বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের প্রাক্তন খ্যাতনামা ওপেনার সুনীল গাভাস্কারকে এবার পড়তে হল চরম সমালোচনার মুখে। ১৯৮৬ সালে বান্দরা পূর্ব এলাকায় মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ বর্গমিটারের একটি প্লট দেওয়া হয়েছিল গাভাস্কার ক্রিকেট ফাউন্ডেশনের নামে একটি অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে কোন কাজ হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এই জমিটি পড়ে রয়েছে যেমন কার তেমনই, সেই কারণে এবার তিরস্কারের মুখোমুখি হলেন গাভাস্কার।
বুধবার রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস পার্টির এক বরিষ্ঠ মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র আওহাদ এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়ে জানান, “যদি এর সঙ্গে সুনীল গাভাস্কার যুক্ত না হতেন, তাহলে আমি আবাসন মন্ত্রী হিসেবে বরাদ্দ বাতিল করে দিতাম। এখন তার উচিত এই প্লটটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।” একইসঙ্গে সুর নরম করে তিনি বলেন, “আমি সেই ব্যক্তি যে গাভাস্কারকে ঈশ্বরের সমকক্ষ বলে মনে করে। সেই দিন এখনও আমি ভুলতে পারিনা যেদিন ফিলিপ ডিফ্রিয়েটাস তাকে ক্লিন বোল্ড করেছিলেন আর আমি কাঁদতে কাঁদতে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে শিবসেনা নেতা তথা মুম্বাই বিল্ডিং মেরামত ও পুনর্গঠন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ ঘোষালকর জানিয়েছেন, সাধারণত এ ধরনের নির্মাণ তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ করা উচিত। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সময় দেরী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারী আবেদন করে সময়সীমা বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু ৩০ বছর একটা দীর্ঘ সময়।
.
উল্লেখ্য শুধু সুনীল গাভাস্কার নয়, দেশের নামী ক্রীড়াবিদ তথা সমাজসেবীদের অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের জমি দান করে থাকে সরকার যাতে তারা উন্নয়নে সাহায্য করতে পারেন। আবার অনেকে নির্মাণ কাজ করতে না পারায় জমি ফিরিয়েও দিয়েছেন সরকারকে। এদের মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, তেমনি রয়েছেন আইপিএলের প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাজীব শুক্লাও। যারা নির্মাণকার্য সম্পন্ন করতে অক্ষম হওয়ায় সরকারকে জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য সুনীল গাভাস্কার এই মুহূর্তে রয়েছেন লন্ডনে। এখনও এ বিষয়ে তার কোনও বয়ান আসেনি।