বাংলাহান্ট ডেস্কঃ যমজ সন্তানের (twin kid) জন্ম, কোন বিশেষ ঘটনা নয়। তবে যদি একই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই যমজ হয়, তখন সেটা আর সাধারণ বিষয় হয় না। তবে এমনই ঘটনা দেখা যায় কেরালার (kerala) কোদিনহি গ্রামে, যা ‘টুইন ভিলেজ’ বা ‘যমজ গ্রাম’ নামে পরিচিত।
এই গ্রামে প্রতিবছরই গড়ে ১৫ জোড়া যমজ সন্তানের জন্মগ্রহণ করে। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে খেলার মাঠ, রাস্তা ঘাট সর্বত্রই এখানে শুধু যমজ মানুষ দেখা যায়। যার কারণে, অনেক সময় অনেকে ভুলও করে বসেন অনেক বিষয়ে।
এই গ্রামে কেনই বা যমজ সন্তানেরা জন্মগ্রহণ করেন? এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন গবেষকরা। সেই কারণে ২০১৬ সালে হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি, কোচির কেরালা ইউনিভার্সিটি অব ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানিক স্টাডিজ, জার্মানির টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের মোট ১২ জনের এক বিশেষজ্ঞ দল এই গ্রামের উপর গবেষণা চালায়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই গ্রামের মাটি, বাতাস ও খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের জিন স্ক্রিনিং করার পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও, বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের উদঘাটন করতে পারেননি। তবে গ্রামবাসীরা এই বিষয়কে ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট বলেই মনে করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই গ্রামের কোন মেয়ের বাইরে বিয়ে হলে, সেও যমজ সন্তানের জন্ম দেয়। আবার অন্য গ্রামের মেয়ে এই গ্রামে বিয়ে করে এলে, তাঁরও যমজ সন্তান হয়।
আশ্চর্য্যের বিষয় হল, এই গ্রামে বসবাসরত প্রায় ২ হাজার পরিবারের মধ্যে প্রায় ৪৫০ জোড়া যমজ সন্তান রয়েছে। প্রতি বছরই গড়ে ১৫ জোড়া করে যমজ সন্তানের জন্ম হয় এই গ্রামে। গ্রামের মোট সংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশই যমজ।