মুখ ঘুরিয়ে চলে না গিয়ে সাহায্য করুন দুর্ঘটনায় আহতদের, বছরে পাবেন ১.২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুজোর মুখেই সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে এক অভিনব পুরস্কার ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে পথে দুর্ঘটনাগ্রস্থ কোন মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেই মিলতে মোটা অংকের পুরস্কার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলতে থাকা এই কর্মসূচীর ফলে বছরে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হবে।

বর্তমান সময়ে দেখা যায় পথে ঘাটে কোন অচেনা মানুষ বিপদে পড়লে, তাঁর দিকে সহজে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আসেন না। অনেকে দূরে থেকে দেখেই চলে যায়, পুলিশি ঝামেলায় আবার অনেকেই জড়াতে চান না। তবে এসবের থেকেও অনেকে আবার দূর থেকে দাঁড়িয়ে মজা দেখেন, এমনকি অনেকে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করার বদলে উলটে সেই দুর্ঘটনার ছবি ভিডিও তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে ব্যস্ত থাকেন।

2021 6largeimg 474475248

তাই এবার এই বিষয়ে এক অভিনব পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার। ঘোষণা করা হল, রাস্তায় কোন আহত ব্যক্তিকে বা বিপদগ্রস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিলতে পারে মোটা অংকের পুরস্কার। মানুষের মধ্যেকার গা ছাড়া ভাবকে সরিয়ে রেখে, মনুষ্যত্ব বোধকে জাগ্রত করতে এই পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

এবিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত কোন ব্যক্তিকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ অর্থাৎ দুর্ঘটনার ১ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে গেল বা ট্রমা সেন্টারে নিয়ে গেলে পুরস্কার দেওয়া হবে সাহায্যকৃত ব্যক্তিকে।

currency

এক্ষেত্রে প্রতিবার সাহায্য করলে পাওয়া যাবে ৫,০০০ টাকা পুরস্কার। বছরে সর্বাধিক পাঁচ বার দেওয়া হবে সেই পুরস্কার। এরপর সেরা পুরস্কৃত নাগরিকদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি নগদ এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও প্রদান করা হবে। এই কর্মসূচী চলবে আগামী ১৫ ই অক্টোবর থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। যাতে করে এক ব্যক্তি বছরে প্রায় ১.২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেতে পারবেন।

আরও জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন পোর্টাল চালু করে সেখানে সাহায্যকারী ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং দুর্ঘটনার বিবরণ নথিভুক্ত করে রাখা হবে। এই কাজ স্থানীয় থানা, হাসপাতালও করতে পারবে।

এবিষয়ে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রতি বছরই দেশে দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাঁদের যদি ‘গোল্ডেন আওয়ার’র মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তাহলে তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়। তাঁরা আশাবাদী কেন্দ্রের এই নয়া পদক্ষেপের ফলে মানুষের মানসিকতার কিছু পরিবর্তন হবে এবং এবার থেকে অনেকে বেশি আহত মানুষদের বাঁচানো সম্ভব হবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর