বাংলাহান্ট ডেস্ক: বখঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ডেইলি সোপ। দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন দুনিয়ায় রাজত্ব করে আসছে মেগা সিরিয়াল। তবে ইদানিং ‘দৌরাত্ম্য’ কিছুটা বেড়েছে। এমন সিরিয়াল রয়েছে যা তিন চার বছর ধরে একই ভাবে বিনোদনের যোগান দিয়ে আসছে। সিরিয়ালে গল্প অতিরঞ্জিত করতে গোরুকে গাছে তুলে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে কিনা এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পদে পদে ট্রোল একটু বেশিই হতে হয়।
বাংলা সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখিকাদের মধ্যে অন্যতম নাম লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (leena ganguly)। প্রায় দু দশক ধরে টেলি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় সিরিয়াল। বারে বারে তাঁর গল্পে উঠে এসেছে যৌথ পরিবার, সম্পর্কের কথা। তবে এখন নাকি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার মান বেশ পড়েছে, অভিযোগ দর্শকদের।
সবকটি সিরিয়ালেই নয় নায়কের দু তিনটি বিয়ে বা নায়িকার একাধিক স্বামী, অবৈধ সন্তান, পরকীয়া এসব তো রয়েছেই। একই গল্প নাকি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একাধিক সিরিয়ালে চালান লেখিকা। এখন স্টার জলসার ‘খড়কুটো’, ‘ধূলোকণা’, ‘শ্রীময়ী’, ‘দেশের মাটি’ এবং ‘মোহর’ এর চিত্রনাট্য লিখছেন তিনি। প্রতিটি সিরিয়ালই কোনো না কোনো সময় ট্রোলের সম্মুখীন হয়েছে।
লেখিকা নিজেও রক্ষা পাননি সমালোচনর হাত থেকে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে গাঁজা খেয়ে গল্প লেখার অভিযোগও আনা হয়েছে। সম্প্রতি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি মিম ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। তাঁর একটি ছবিতে লেখা, ‘ওভাবে হাঁ করে কি দেখছিস? আমিই সেই অস্কার জয়ী লেখিকা, যে সস্তার গাঁজা খেয়ে গল্প লিখি, একটা হিরোর দুটো বউ, একটা বউয়ের চারটে বর, একটা বুড়ির পাঁচটা প্রেমিক, এই সবই আমার লেখা।’
তবে নেটিজেনদের নেতিবাচকতাকে পাত্তা দিতে নারাজ লেখিকা। তাঁর কথায়, তাঁর দর্শকেরা কূউই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না। আর নেটীজেনদের সমালোচনার উপয ভিত্তি করে টিআরপি ও নির্ধারণ হয় না। তাই এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।