‘নারায়ণ বাড়ি ছেড়ে গেলেও, লক্ষ্মী যাবে না’ কোজাগরীর দিনে শোভন-বৈশাখীকে জবাব রত্নার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যায় বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovan chatterjee)। কিন্তু কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন নিজেকে ‘লক্ষী’ এবং স্বামী শোভনকে ‘নারায়ণ’ বলেই সম্বোধন করলেন প্রাক্তন মেয়রের আইনত স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (ratna chatterjee)।

সম্প্রতি সময়ে কালজয়ী সিনেমার গানে নৃত্য পরিবেশন থেকে শুরু করে বিজয়া দশমীর দিন বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুরদান- এসব নিয়ে কম জল্পনা কল্পনা হয়নি। তবে বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন সেসব বিতর্ক ভুলে গিয়ে বাড়ির লক্ষ্মী পুজো নিয়ে বেশ কিছুটা ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। আশ্চর্য্যের বিষয় হল, এই বাড়িটি কিন্তু বর্তমানে বৈশাখীর।

sovon baishaki dashami

কিছুদিন আগেই আর্থিক টানাপোড়েনে পড়েন সামলাতে না পেরে বেহালা পর্ণশ্রী ১৩৯বি, মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটি বান্ধবী বৈশাখীর কাছে বিক্রি করে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তারপরই রত্নাকে ভালো ভাবে বাড়ি ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন বৈশাখী। আর সেই বাড়িতেই মা লক্ষীর আরাধনা করলেন শোভন জায়া রত্না।

পুজোর ফাঁকেই সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে রত্না বলেন, ‘শোভনবাবু মা লক্ষ্মী করেই আমাকে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। আর তারপর থেকে গত ২১ বছর ধরে এই বাড়িতে আমি নিজের হাতেই লক্ষ্মীপুজোর কাজ করছি। এই বাড়ির লক্ষ্মী তো আমি। শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেককে নিয়েই পুজো করছি। এই নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই’।

bbjbc

বৈশাখী প্রসঙ্গে নাম না করেই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টোপাধ্যায় বাড়ির বউ আমিই। আর ভগবানের কাছে চাইব, যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন যেন এভাবেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিয়ে এই বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে যেতে পারি আমি। আর এই বাড়িতে আমি রয়েছে গেলেও শোভনবাবু চলে গিয়েছেন। লক্ষ্মী বাড়িতে থাকলেও নারায়ণ কিন্তু চলে গিয়েছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর