বাংলাহান্ট ডেস্ক: যারা থাকার তারা ঠিকই থেকে যাবে। কথাটা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma), সব্যসাচী চৌধুরী (sabyasachi chowdhury)। ক্যানসারের মতো রোগও আলাদা করতে পারেনি দুজনকে। বরং আরো শক্ত করে ঐন্দ্রিলাকে জড়িয়ে ধরেছেন সব্যসাচী। প্রথম থেকেই অভিনেত্রীর সঙ্গে ছায়ার মতো রয়েছেন তিনি।
দিল্লির হাসপাতালে সঙ্গে থেকে খাবার, ওষুধ ঠিক সময়ে খাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচারের পর ঐন্দ্রিলার আদরের পোষ্যকে নিয়ে সব্যসাচীর ঘরের বাইরে অপেক্ষারত ছবি সকলেই দেখেছেন। ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হওয়া ইস্তক তাঁর অনুরাগীদের কথা মাথায় রেখে প্রতি মাসের আপডেট দেন সব্যসাচী।
প্রেমিক তো এমনি হওয়া উচিত। আবদার তো এমন মানুষের কাছেই করা যায়। আর ঐন্দ্রিলার সব আবদার রাখেনও সব্যসাচী। নিজের অভিনয় সামলে ঠিক ঐন্দ্রিলার মন ভাল করার রসদ খুঁজে বার করেন। এই যেমন দূর্গাপুজোতে সব্যসাচীর হাত ধরেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
মহালয়ার দিনই কেমোথেরাপির তারিখ ছিল ঐন্দ্রিলার। সেই যন্ত্রণা সহ্য করেই প্রেমিক সব্যসাচীর কাছে আবদার করেছিলেন ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পুজোর উন্মাদনায় ভিড়ে ভিড়াক্কার শহরে নামজাদা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা দর্শন করতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। কিন্তু মা দুগ্গা বিষন্ন মনে ফিরতেও দেননি তাঁদের। এক নির্জন ছোট্ট মণ্ডপেই আটপৌরে মায়ের মতো উমাকে দর্শন করেছিলেন ঐন্দ্রিলা সব্যসাচী।
পুজোর পরেই এক দুঃসংবাদের সম্মুখীন হতে হয় ঐন্দ্রিলাকে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তাঁর মাসি, ‘দুষ্টুমা’। সব্যসাচী জানান, দুষ্টুমার শেষকৃত্যের সময় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে এখন তিনি কিছুটা ভাল আছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। অভিনেত্রীর কাঁধে হাত দিয়ে লেন্সবন্দি হয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কয়েক বছর আগে ওকে বলেছিলাম, “এই জমকালো রঙিন দুনিয়ায়, একটা সাদাকালো মানুষের সাথে থেকো না। হতাশ হবে।” শোনেনি। এখনও আছে।’