বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস পালটে দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)! এতদিনের পড়া ইতিহাস এক লহমায় বদলে দিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে নাকি ভারত স্বাধীনই হয়নি। ওটা ‘ভিক্ষা’ ছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে, এমনি দাবি অভিনেত্রীর। তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা এসেছিল সেটা আসলে ‘ভিক্ষা’ ছিল। ভারত প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। উল্লেখ্য, ওই বছরেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ক্ষমতাসীন হয়।
কঙ্গনার এই মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। এমন মন্তব্য করে দেশের জন্য শহিদ হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অভিনেত্রী অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন নেটিজেনরা। কঙ্গনার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মুম্বই পুলিসের কাছে মামলা দায়ের করার আবেদন করেছেন আম আদমি পার্টির নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন। কঙ্গনার মন্তব্য মানহানিকর বলে অভিযোগ করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫, এবং ১২৪ এ ধারায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন তিনি।
Submitted an application to @MumbaiPolice requesting action on Kangana Ranaut for her seditious and inflammatory statements on @TimesNow, under sections 504, 505 and 124A.
Hope to see some action @CPMumbaiPolice @DGPMaharashtra pic.twitter.com/9WxFXJFnEn— Preeti Sharma Menon (@PreetiSMenon) November 11, 2021
কঙ্গনাকে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধী টুইট করেছেন, ‘কখনো মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগকে অসম্মান করে, কখনো তাঁর হত্যাকারীর প্রশংসা করে, আর এখন মঙ্গল পাণ্ডে, রাণী লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এবং লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদানকে ছোট করে। এই ভাবনাকে কি পাগলামি বলব নাকি দেশদ্রোহিতা?’
কঙ্গনা অবশ্য সাক্ষাৎকারের সময়েই দাবি করেছিলেন, স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের জন্য তাঁর নামে তাঁর নামে আরো মামলা দায়ের হবে। সেটা তিনি জানেন। অতি সম্প্রতি দেশের ‘আদর্শ নাগরিক’ হওয়ার জন্য পদ্মশ্রী পেয়েছেন কঙ্গনা।
পদ্মশ্রী পেয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি বলেন, টাকার থেকে শত্রু বেশি রয়েছে তাঁর। অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, এসব করে কী পান তিনি। তাদের উদ্দেশে অভিনেত্রীর বার্তা, “আজ যে আমি পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছি এটা অনেকের মুখ বন্ধ করবে।”