বাংলাহান্ট ডেস্ক: ত্রিপুরা গিয়ে হাজতবাস হয়েছে। এবার নিজের রাজ্যে ফিরতে গিয়েও বাধার মুখে পড়লেন সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)! রানওয়েতে কুকুর ঢুকে পড়ায় আকাশপথেই বেশ কিছুক্ষণ চক্কর কাটতে হল সায়নীদের বিমানটিকে। কুকুরকে সরিয়ে তারপর কলকাতার মাটি ছুঁতে পারলেন তাঁরা। হয়রানি বলে হয়রানি!
ত্রিপুরায় আসন্ন পুরভোটের প্রচারে কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবদের সঙ্গে সে রাজ্যে প্রচারে গিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিস। এক রাত জেলে কাটিয়ে সোমবার বিকেলে জামিন পান সায়নী। মঙ্গলবার প্রচার সেরে কলকাতা ফিরছিলেন কুণাল, সায়নী, সুস্মিতা, ব্রাত্য বসুরা।
কিন্তু দমদম বিমানবন্দরে নামার আগেই হয় বিপত্তি। ইন্ডিগোর বিমানটি সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতায়। অবতরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ফের গতি বাড়িয়ে উপরে উঠে যায় বিমানটি। পাইলট জানান, রানওয়েতে কুকুর ঢুকে পড়েছে। তাই এখন অবতরণ করা যাবে না। সে কুকুর সরিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট পর অবতরণ করে সায়নীদের বিমানটি।
রবিবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়ার পর সোমবার বিকেলে আগরতলা আদালতে পেশ করা হয় সায়নীকে। ২ দিন সায়নীকে হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিস। কিন্তু আদালত জামিনের রায় দেয় তাঁর। জামিন পেয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলারা একেবারেই নিরাপদ নন। আর ত্রিপুরাতে তো তাঁর নিজেরই অভিজ্ঞতা হয়ে গেল।
রবিবার তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানান, পুলিস দাবি করছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকি জোরে গাড়ি চালিয়ে রাস্তার মানুষকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সায়নী। পালটা সুস্মিতার দাবি, সায়নী গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছেন এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। পুরোটাই মিথ্যে, তৃণমূলকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে এমনটা।