বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বুধবার মহাশূন্যে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যা আমাদের কাছে নাসা নামে পরিচিত। প্রায়শই এরকম মহাকাশযান পাঠিয়ে থাকে তারা, তবে এবারের অভিযানের আসল উদ্দেশ্য একটু অন্যরকম। পৃথিবীর একটি নিকটবর্তী এক গ্রহাণুতে গিয়ে আছড়ে পড়ার কথা এই রকেটের এবং সেই আঘাতের ফলস্বরুপ ওই গ্রহাণুর কক্ষপথে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হবে। অভিযানটির মাধ্যমে প্রথমবার মহাজাগতিক ঘটনার গতি পরিবর্তন করা সম্ভব হবে মানব ইতিহাসে।
বহুকাল আগে এই পৃথিবী থেকেই ডাইনোসর রাতারাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। মনে করা হয় তার পেছনে মূল কারণ ছিল কোনও এক গ্রহাণুর আঘাত। বিশাল কোনো মহাজাগতিক গ্রহাণু পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অবলুপ্ত হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতাও। সেই কারণেই এইরকম বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকতে চায় নাসা। মহাজাগতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আজ পরীক্ষামূলকভাবে এই নভোযান পাঠানো হবে মহাকাশে।
আমরা জানতে না পারলেও প্রায়শই মহাকাশ থেকে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে একাধিক মহাজাগতিক বস্তু। তবে এর বেশির ভাগই তুলনামূলকভাবে এতটাই ক্ষুদ্র যে পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পূর্বেই বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষে জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় সেই বস্তু। তবে আজ থেকে প্রায় ৭ কোটি বছর আগে হয়তো এমনই বড় কোনো মহাজাগতিক বস্তুর পৃথিবীতে প্রবেশের কারণে ডাইনোসরের মতো শক্তিধর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেইরকম কোনও বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর সম্ভাব্য সমাধান এখন থেকেই খোঁজার চেষ্টা করছে নাসা
এই পরীক্ষার মাধ্যমে আদেও গ্রহাণুর পথ পরিবর্তন সম্ভব হবে কি না, তাই নিয়ে পরীক্ষা করা হবে নাসার ‘ডবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট’ বা ‘ডার্ট’ শীর্ষক অভিযানে। ডার্ট অভিযানের রকেটটির ওজন ৬১০ কেজি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজ থেকে সেটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেটে করে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সময় দুপুর ১ টা নাগাদ সেটি নিক্ষেপ করা রয়েছে।