বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলন্ত ট্রেলার থেকে মিরাজের (Dassault Mirage 2000) যুদ্ধবিমানের চাকা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ট্রেলারটিকে হেফাজতে নেন, এবং চালককেও হেফাজতে রাখা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল এয়ার কমান্ড স্টেশন BKT থেকে মিরাজের চাকা যোধপুরে পাঠানো হচ্ছিল। চোরেরা পথে ট্রেলারের দড়ি কেটে বিমানের চাকা চুরি করে।
এ ঘটনায় ট্রেলার চালকের অভিযোগে আশিয়ানা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশও তার পর্যায় থেকে তদন্ত করছে। পুলিশ জানায়, শহীদ পথের আশেপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লখনউ-র BKT-তে সেন্ট্রাল এয়ার কমান্ড স্টেশন আছে। মিরাজ যুদ্ধবিমানের পাঁচটি টায়ার বিমানঘাঁটি থেকে যোধপুর বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হচ্ছিল। ২৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২টার দিকে সেনাবাহিনীর কাজে নিযুক্ত সেই ট্রেলারটি টায়ার লোড করে বের হয়। ট্রেলারের চালক ছিলেন হেম সিং রাওয়াত, উনি মায়াপুর আজমেরের বাসিন্দা। হেম সিং রাওয়াতের মতে, তিনি শহীদ পথ হয়ে কানপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
শহীদ পথ রোডে এসআর হোটেলের কাছে জ্যাম ছিল। জ্যামের মধ্যে, কালো স্করপিও থেকে নেমে ট্রেলারের পিছনে ছুটে আসা দু’জন ব্যক্তি দড়ি কেটে টায়ার খুলে নামিয়ে নেয়। জ্যামের কারণে ট্রেলার চালক তাঁর গাড়ি সাইডে রেখে চোরদের ধরতে পারেননি। এদিকে স্করপিও আরোহীরা টায়ার চুরি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হেম সিং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ১১২ নম্বরে এই তথ্য দেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিআরভি ট্রেলার চালককে গাড়িসহ আশিয়ানা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে থানার ইনচার্জ ধীরজ কুমার শুক্লাকে সম্পূর্ণ তথ্য দেয় ট্রেলার চালক। একটি স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায়, পুলিশ ড্রাইভার হেম সিং রাওয়াতের অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বে একটি মামলা দায়ের করেছে। যদিও সেখানে তদন্ত শুরু করলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।