বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাহাড় থেকে ফিরতে না ফিরতেই মূর্তিমান শনি হাজির গুনগুন (gungun) সৌজন্যর (soujonno) সংসারে। শুরু থেকে সৌগুনের সংসারে নজর রয়েছে তিন্নি দিদির। বহুবার বহু রকম করে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে চেয়েছে সে। কিন্তু কোনো বারই কৃতকার্য হয়নি। তবুও হাল ছাড়ার পাত্রী নয় তিন্নি। গুনগুন সৌজন্যর সংসার সে যেভাবেই হোক ভেঙেই ছাড়বে।
স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ নিত্য নতুন চমক দেওয়াতে বেশ জনপ্রিয়। একটা সময় টিআরপি তালিকার শীর্ষে ছিল এই সিরিয়াল। সৌজন্য গুনগুনের খুনসুটি, যৌথ চৌধুরী পরিবারের মজার কাণ্ডকারখানার উপর ভর করেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিল সিরিয়ালটি। একে অপরকে দুচক্ষে দেখতে না পাওয়া থেকে শুরু করে দু দুবার বিয়ে, রোম্যান্সের সাক্ষী থেকেছে দর্শক।
আর তাদের সংসারেই বারবার ভাঙন ধরাতে এসেছে তিন্নি দিদি। পুজোর সময়ে ঝামেলা তুঙ্গে উঠেছিল। বিজয় দশমীতে বাবিনের হাতের সিঁদুর তিন্নির সিঁথিতে পড়তেই বাবিনের স্ত্রী হতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। সৌজন্যকে তার যেভাবে হোক চাই। একবার আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মাঝরাতে সৌজন্যকে নিজের কাছে টেনে আনে তিন্নি।
সৌজন্য পরে নিজেই বাড়িতে সকলকে মিথ্যে বলে তিন্নির কাছে গিয়ে হাজির হয়। গুনগুনকে সে জানায় যে ইনস্টিটিউটে যাচ্ছে। কিন্তু পটকা, রূপাঞ্জন, বৌদি সকলকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে জানতে পেরে মিথ্যে বলেছে সৌজন্য।
তিন্নির বাড়িতে গিয়ে দেখে বাবিনকে জাপটে ধরে রয়েছে তিন্নি। এই নিয়ে বাড়ির সকলের সঙ্গে ভুল।বোঝাবুঝি। এর মাঝে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় বাবিন। তারপর থেকেই স্বামীর উপরে অধিকার দেখাতে শুরু করে গুনগুন। তিন্নি দিদিকে শাসায়, সংসারে ভাঙন ধরাতে এলে দেখে নেবে।
https://www.instagram.com/khorkuto.aesthetics/p/CXZ5rweKL_v/?utm_medium=copy_link
সৌজন্য বাড়ি ফেরার পরে অবশ্য তিন্নির ছায়া আর পড়েনি তাদের সংসারে। বরং হইহই করে সকলে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। সম্প্রতি ফেরা হয়েছে সেখান থেকে। বাড়িতে জমিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল খাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এমন সময়ে ফের এসে হাজির সমস্যা। শেষমেষ তিন্নির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌজন্য। খুবই পরিণত মনের পরিচয় দিয়ে গুনগুন জানায়, সে সৌজন্যর জীবনসঙ্গিনী। এই লড়াইয়ে তার পাশে আছে সে। গোটা চৌধুরী পরিবারকে এই লড়াইয়ে পাশে পাবে সৌজন্য।