বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খুব ভালো ফল করার প্রত্যাশা না করলেও, এমনটা হবে তা আশা করেনি বিজপির (bjp) রাজ্য নেতৃত্বরা। ৫-র গন্ডিও যে পেরোতে পারবেন না, ৩-ই যে আটকে থাকবে, এমনটা কখনই কল্পনা করেনি গেরুয়া শিবির। তবে কলকাতা পুরনির্বাচনে পরাজয়ের পর উঠে এল একাধিক কারণ।
প্রথমেই যে বিষয়টাকে ইস্যু করা হচ্ছে, তা হল আদালতের উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরা। কারণ, পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণ হতেই আইনি লড়াইয়ে নেমে পড়েছিল বিজেপি শিবির। কখনও সব পুরসভায় ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়ে, তো আবার কখনও পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি।
আর রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বরা এই বিষয়ে বেশি মননিবেশ করায়, অন্যান্য কর্মী সমর্থকরাও সেই দিকেই বেশি ঝুঁকে ছিল। যার প্রভাব পড়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। যেভাবে আদালতের রায়ের উপর বেশি ভরসা করে বসেছিল বিজেপি শিবির, তাতে করে ধারণা করা যাচ্ছে, রাজ্যবাসী তৃণমূলের উপরই বেশি আস্থা রেখেছিল।
আবার নির্বাচনের জন্য ষোলটি বরোর দায়িত্ব যে ১৬ জন বিধায়ককে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা কেউই কলকাতার বিধায়ক নন। যার ফলে ওই সকল এলাকার সম্পর্কে তাঁদের স্পষ্ট ধারণা না থাকায়, ৬০ শতাংশ ওয়ার্ডে ঠিক মতো প্রচারই করতে পারেননি দলের রাজ্য স্তরের নেতারা। এমনকি তারকা প্রচারকরের তালিকা প্রকাশ করলেও, শেষ দিনে কলকাতা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে হাজির করানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কে।
আবার মেয়াদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হয়ার আগে তড়িঘড়ি তাঁকে সরিয়ে দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আসাটাও, একটা কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্বে আবার দেখা গিয়েছিল, সভায় লোক না হওয়ার কারণে বাতিলও করা হয়েছিল নতুন রাজ্য সভাপতির সভা।
সবমিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিজেদের খারাপ ফলের আশা করলেও, এতোটা হবে, তা আশা করেনি গেরুয়া শিবির। তবে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘যা হওয়ার ছিল, ঠিক তাই হয়েছে’।