বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রেমের বিয়ে, কিন্তু ভালোবাসার সেই মানুষটিকেই খুনের চেষ্টা করল স্বামী। কারণ মাঝে এসে গিয়েছিল অন্য কেউ। যার কারণে একসময়ের ভালোবেসে বিয়ে করা বউকে গুলি করতে হাত কাঁপল না স্বামীর। বর্তমানে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আয়েষা শেখ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর থানার অন্তর্গত ঢোষা চন্দনেশ্বর গ্রামপঞ্চায়েতের তিলপি গ্রামের বাসিন্দা আয়েষা শেখ এবং সাবিরুল শেখের। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় গত ৫ বছর আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ঘরে স্ত্রী থাকতেও প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাবিরুলের। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা আয়েষা জানতেই তাদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল আশান্তি। প্রায় দিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।
এইভাবে একদিন ঝামেলা চরমে পৌঁছালে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সাবিরুল। এরপর এই ঘটনার বিচারে সালিশি সভা ডেকে সবকিছু মিটমাট করে দেওয়া হয়। তবে সোমবার স্থানীয় মনসাতলায় তৃণমূলের সভা ছিল। আর সেখানে গিয়েছিলেন গ্রামের সকলেই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আয়েষা সেখানে না যাওয়ায়, পরকীয়ার পথের কাটা স্ত্রীকে সরানোর ভালো সুযোগ পেয়ে যান সাবিরুল।
সুযোগ বুঝে ঘুমন্ত স্ত্রীর পেটে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সে। আশেপাশে কেউ না থাকায় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে আয়েষা। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে আয়েষাকে ওই অবস্থায় দেখে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে আয়েষার।