বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড়দিনের ঠিক আগে আগে মুক্তি পেয়েছে ‘টনিক’ (tonic)। দেব ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি বক্স অফিসে হিট ইতিমধ্যেই। ছবির প্রচারে কোনো খামতি রাখেননি দেব। মদন মিত্র থেকে শুরু করে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কেও টনিক এর প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’, ‘দাদাগিরি’র মতো রিয়েলিটি শোতে এসেও প্রচার পর্ব সেরেছেন ছবির কলাকুশলীরা।
এর আগে দেব, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়ারা নিজে এসে খেলে গিয়েছেন দাদাগিরিতে। আজ নতুন বছরে এলেন বিশ্বনাথ বসু, কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mullick), অনিন্দ্য, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, কিঞ্জলদের মতো প্রতিযোগীরা। গান, আড্ডা, হাসিঠাট্টায় জমজমাট হয়ে উঠল শনিবারের পর্ব।
দাদাগিরির মঞ্চে কাঞ্চনকে নিয়ে রসিকতাও করতে ছাড়লেন না সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly)। এতদিন পর্দায় নিজের অভিনীত চরিত্র দিয়ে সকলকে আনন্দ দিয়েছেন কাঞ্চন। কিন্তু সৌরভের রসিকতার সামনে পড়ে যুতসই উত্তরই খুঁজে পেলেন না অভিনেতা! খেলার শুরুতেই কাঞ্চনকে ‘এম এল এ ফাটাকেষ্ট’র সঙ্গে তুলনা করে ‘দাদা’ বলেন, “এতদিন আমরা জানতাম এম এল এ ফাটাকেষ্ট। এবার এসেছেন এম এল এ কাঞ্চন”।
বিধায়ক হওয়ার পর কাঞ্চনের সঙ্গে সবসময় দুজন সশস্ত্র দেহরক্ষী থাকে, সেটা নিয়েও মজা করলেন সৌরভ। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতার উত্তর, এই দেহের জন্য আবার রক্ষীর কী প্রয়োজন! এরপরেই কাঞ্চনকে ‘জালি’ বলে মশকরা করে বসেন সৌরভ!
আসলে ‘টনিক’ ছবিতে কাঞ্চনের অভিনীত চরিত্রের নাম কালীচরণ। সে সবরকম সার্টিফিকেটকের নকল বানিয়ে দিতে পারে। তাই লোকমুখে তার নাম হয়ে গিয়েছে ‘জালিচরণ’। ব্যাপারটা শুনে মজা করার লোভ সামলাতে পারেননি সৌরভ। তিনি বলেন, “এটার মধ্যে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার নেই। কিন্তু যে বছর কাঞ্চন বিধায়ক হল সেই বছরেই জালি নামের চরিত্রও করল!” সৌরভের কথা শুনে হাসির ফোয়ারা দাদাগিরির সেটে। এমনকি কথা হারিয়ে ফেলেন কাঞ্চনও!
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। ব্যারাকপুর থেকে ভোটে লড়েন তিনি। জিতে বিধায়কও হন। রাজনৈতিক কাজকর্মের পাশাপাশি অভিনয়টাও পুরোদমে চালাচ্ছেন তিনি।